আবার মেট্রোয় আত্মহত্যার চেষ্টা। শুক্রবার যতীন দাস পার্ক স্টেশনে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ মেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এক যাত্রী। এর ফলে ব্যস্ত সময়ে কলকাতা মেট্রোর ব্লু লাইনে (দক্ষিণেশ্বর থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম) আবার পরিষেবা ব্যাহত হয়। ভাঙাপথে ট্রেন চলাচল করে কলকাতা মেট্রোর ‘আদি’ লাইনে। প্রায় ৫০ মিনিট পর পরিষেবা স্বাভাবিক হয় ব্লু লাইনের পুরো পথে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার বেলার দিকে যতীন দাস পার্ক স্টেশনে একটি আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটে। ডাউন লাইনে, অর্থাৎ শহিদ ক্ষুদিরামগামী মেট্রোর সামনে ঝাঁপ মারেন এক যাত্রী। এই ঘটনার জেরে পরিষেবা সাময়িক ব্যাহত হয়। মেট্রোরেল সূত্রে খবর, ময়দান থেকে মহানায়ক উত্তম কুমার (টালিগঞ্জ) পর্যন্ত পরিষেবা সাময়িক বন্ধ করতে হয়। সেই সময় শহিদ ক্ষুদিরাম থেকে টালিগঞ্জ এবং ময়দান থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত পরিষেবা চালানো হয়। মেট্রোর দাবি, দুপুর ১টা নাগাদ একটি ঘটনা ঘটে। সেই কারণে পরিষেবা ‘অনিয়ন্ত্রিত’ হয়ে পড়ে। তবে বেলা ১টা ৫০ মিনিট নাগাদ আবার পরিষেবা স্বাভাবিক হয়।
কলকাতা মেট্রোর ব্লু লাইনে আত্মহত্যা বা আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা এই প্রথম নয়। কেন বার বার এই লাইনে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই প্রবণতা ঠেকাতে মেট্রো কর্তৃপক্ষ একাধিক পদক্ষেপ করেন। কালীঘাট স্টেশনের ধারে ব্যারিকেড বসানো থেকে যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা হয়েছে। নজরদারি বৃদ্ধি করেও কোনও লাভ হয়নি। ফলে বার বার একই ঘটনা ঘটে চলেছে। কলকাতা মেট্রোর অন্য লাইনগুলিতে কারও ঝাঁপ দেওয়ার বা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন:
চলতি বছরে ইতিমধ্যেই কলকাতা মেট্রোয় বেশ কয়েকটি আত্মহত্যার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। সংসদে বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব একপ্রকার স্বীকার করে নেন যে, কলকাতা মেট্রোয় আত্মহত্যার ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তৃণমূল সাংসদ মালা রায়ের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, গত পাঁচ বছরে মেট্রোয় সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা হয়েছে ২০২৪ সালে। ওই বছর সাত জন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন মেট্রোয়।