Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

আশ্বাসে ধর্না উঠল শালিমার পেন্টসে

চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে গত পয়লা এপ্রিল কারখানার গেটের সামনে ধর্নায় বসেছিলেন শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যেরা।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৯ ০১:০৫
Share: Save:

কর্মী নিয়োগ এবং বকেয়া টাকা মেটানোর ব্যাপারে আলোচনার জন্য কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে আশ্বাস পেয়ে ধর্না তুলে নিলেন শালিমার পেন্টসের কর্মীরা। বুধবার বিক্ষোভরত শ্রমিক সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, কর্তৃপক্ষ তাদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, আগামী সোমবার শালিমার পেন্টসের পদস্থ কর্তারা বৈঠক করতে আসছেন। সেখানেই শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। এই আশ্বাস পাওয়ার পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই ধর্না তুলে নেওয়া হয়। খুলে দেওয়া হয় কারখানার গেট।

চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে গত পয়লা এপ্রিল কারখানার গেটের সামনে ধর্নায় বসেছিলেন শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যেরা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, এত বছর চাকরি করার পরেও বকেয়া বেতন তো দূর, পিএফ ও গ্র্যাচুইটির টাকাও পাননি তাঁরা। ফলে পরিবার প্রতিপালনের জন্য কেউ টোটো চালাচ্ছেন, কেউ বাজারে আনাজ বিক্রি করছেন, কেউ আবার রাস্তার ধারে বসে ভিক্ষা করছেন। অথচ চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে কারখানা কর্তৃপক্ষের হেলদোল নেই।

এর প্রতিবাদেই শ্রমিকেরা কারখানার গেটের সামনে বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেন। ধর্নার দ্বিতীয় দিনে কানোরিয়া জুটমলের কর্মীদের কায়দায় কারখানার গেটের সামনে গণ হেঁশেল তৈরি করা হয়। এ ছাড়া কর্মীরা ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নেন। ঘোষণা করেন, এলাকার বাসিন্দারাও যাতে ভোট বয়কট করেন সে জন্য তাঁরা মাইক নিয়ে প্রচার করবেন।

আজ কোথায় কোথায় ভোট, দেখে নিন

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

কার্যত এর পরেই নড়ে বসেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। ‘শালিমার ওয়ার্কসমেন ইউনিয়ন’-এর সভাপতি দেবাশিস সেন বলেন, “শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে অবশেষে কর্তৃপক্ষ আলোচনায় রাজি হয়েছেন। সোমবার তাঁরা আসছেন কথা বলতে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Strike Shalimar Paints protests
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE