Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

কেমন আছে শহরের অন্যান্য উড়ালপুল? সরেজমিনে আনন্দবাজার

বিবেকানন্দ উড়ালপুল-বিপর্যয়ের পরে কেটে গিয়েছে কয়েক দিন। কেমন আছে শহরের বাকি উড়ালপুলগুলি? সরেজমিন দেখে এলেন আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিনিধিরা।বিবেকানন্দ উড়ালপুল-বিপর্যয়ের পরে কেটে গিয়েছে কয়েক দিন। কেমন আছে শহরের বাকি উড়ালপুলগুলি? সরেজমিন দেখে এলেন আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিনিধিরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৬ ০১:০৫
Share: Save:

ঢাকুরিয়া ব্রিজ

জন্ম: ছয়ের দশকের গোড়ায়।

মালিক: কলকাতা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট ( কেআইটি)

২০১৩ সালের মে মাসে ঢাকুরিয়া ব্রিজের একটি অ্যাপ্রোচ রোডের একাংশ ধসে যায়। রাইটস-এর বিশেষজ্ঞেরা কাঠামো পরীক্ষা করে জানান, সামনে ভ্যাট থাকায় ইঁদুরের উৎপাত রয়েছে। মূষিকবাহিনীর দাপটেই ধস নামছে। পুরোপুরি সারানোর কথাও বলেন তাঁরা। কেআইটি-র দাবি, গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বলে পুরো সারানো যাচ্ছে না। তবু এই ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করে বড় ট্রাক, লরিও।

সর্বশেষ পরিদর্শন: তিন মাস আগে। আপাতত যেটুকু সারানো হয়েছে, তাতে আরও কয়েক বছর চলবে।

গড়িয়াহাট উড়ালপুল

জন্ম: ২০০২ সালে।

মালিক: হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার্স (এইচআরবিসি)।

গড়িয়াহাট রোডের উপরে তৈরি আধ কিলোমিটারের বেশি লম্বা উড়ালপুল দিয়ে প্রচুর গাড়ি চলে। ছোট গাড়ির পাশাপাশি বড় গাড়িও চলে। সেতুর তলায় রয়েছে জনবহুল গড়িয়াহাটের মোড়। ১৯৯৯ সালে কাজ শুরু হয়েছিল। নির্মাণের খরচ ৪০০ কোটি টাকা জুগিয়েছিল জাপান ব্যাঙ্ক ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন।

সর্বশেষ পরিদর্শন: নিয়মিত হয়। এইচআরবিসি-র দাবি, কোনও অভিযোগ মেলেনি।

এজেসি বসু রোড উড়ালপুল

জন্ম: ২০০৩ সাল।

মালিক: হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার্স (এইচআরবিসি)।

ডিএল খান রোডের মুখ থেকে পার্ক সার্কাস মোড় পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার লম্বা উড়ালপুলের টাকা জুগিয়েছিল জাপান ব্যাঙ্ক ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন। এই উড়ালপুলের তলায় রয়েছে এক্সাইড মোড়, বেকবাগান মোড়, মিন্টো পার্ক মোড়। গা ঘেঁষে রয়েছে রবীন্দ্র সদন, এসএসকেএম, নিজাম প্যালেস। ছোট গাড়ির পাশাপাশি বড় গাড়িও যায় এখান দিয়ে।

সর্বশেষ পরিদর্শন: নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ হয়। মাঝেমধ্যে দু’-তিন মাস অন্তরও হয়। এইচআরবিসি-র দাবি, কোনও অভিযোগ মেলেনি।

পার্ক স্ট্রিট উড়ালপুল

জন্ম: ২০০৫ সাল।

মালিক: হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার্স (এইচআরবিসি)

প্রায় এক কিলোমিটার লম্বা উড়ালপুল শুরু হচ্ছে লিন্ডসে স্ট্রিটের সামনে থেকে। এর তলায় রয়েছে পার্ক স্ট্রিট মোড়। এক পাশে ময়দান হলেও অন্য পাশে রয়েছে জাদুঘর, এশিয়াটিক সোসাইটি, মেট্রো রেল ভবনের মতো নানা গুরুত্বপূর্ণ বাড়ি। ছোট গাড়ির পাশাপাশি বাসের মতো বড় গাড়িও যায়। এখনও পর্যন্ত সেতু সংক্রান্ত কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি।

সর্বশেষ পরিদর্শন: নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এইচআরবিসি-র দাবি, কোনও অভিযোগ মেলেনি।

মাঝেরহাট ব্রিজ

জন্ম: অন্তত দু’দশক আগে।

মালিক: পূর্ত দফতর ও রেল।

ব্রিজের তলা দিয়ে রেললাইন গিয়েছে। রয়েছে মাঝেরহাট স্টেশন। সেতুটি অনেক দিনের পুরনো। নিয়মিত কয়েক হাজার গাড়ি যাতায়াত করে এই সেতু ধরে। যায় বড় মাপের লরি, কন্টেনারও।

সর্বশেষ পরিদর্শন: তিন মাস আগে। কর্তৃপক্ষের দাবি, কোনও গাফিলতি ধরা পড়েনি।

তথ্য: অনুপ চট্টোপাধ্যায় এবং কৌশিক ঘোষ।

ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য এবং শৌভিক দে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

flyover kolkata flyover
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE