E-Paper

মাকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগে ধৃত ছেলে

সরস্বতীদের বাড়ি মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে। তাঁর ছেলে মুন্না তেমন কোনও কাজ করত না। সল্টলেকের ওই বাড়িটি দেখাশোনার পাশাপাশি, এলাকা থেকে প্লাস্টিকের বোতল-সহ বিভিন্ন সামগ্রী সংগ্রহ করতেন সরস্বতী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২৫ ০৬:৫৮
ছ’দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে থাকবেন ধৃত।

ছ’দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে থাকবেন ধৃত। —প্রতীকী চিত্র।

মাকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল ছেলেকে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সল্টলেকের সি জে ব্লকের একটি বাড়িতে। পুলিশ জানায়, নিহত মহিলার নাম সরস্বতী মুর্মু (৫০)। তিনি ওই বাড়ি দেখাশোনার কাজ করতেন। তাঁর ছেলের নাম মুন্না মুর্মু। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশের অনুমান, সরস্বতীকে মুন্নাই খুন করেছে।

জানা গিয়েছে, সরস্বতীদের বাড়ি মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে। তাঁর ছেলে মুন্না তেমন কোনও কাজ করত না। সল্টলেকের ওই বাড়িটি দেখাশোনার পাশাপাশি, এলাকা থেকে প্লাস্টিকের বোতল-সহ বিভিন্ন সামগ্রী সংগ্রহ করতেন সরস্বতী। সেগুলি বিক্রি করে অতিরিক্ত উপার্জন করতেন।

পুলিশ জানায়, সোমবার রাতে সি জে ব্লকের ১৪০ নম্বর বাড়ির গ্যারাজ থেকে উদ্ধার করা হয় সরস্বতীর দেহ। দেহের অবস্থা দেখেই পুলিশ বুঝতে পারে, মহিলাকে খুন করা হয়েছে। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই বাড়ির একতলা ভাড়া দেওয়া আছে। বাড়িটির দেখাশোনা করতেন সরস্বতী। তিনি প্রতিদিনই বাড়ির সামনের একটি দোকানে চা খেতে যেতেন। কিন্তু সোমবার তাঁকে দেখতে না পাওয়ায় সন্দেহ হয় চায়ের দোকানের মালিকের। সেই সূত্রে খবর যায় বিধাননগর পূর্ব থানায়। পুলিশ গিয়ে বাড়ির গ্যারাজ থেকে উদ্ধার করে মহিলার দেহ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, রবিবার মায়ের সঙ্গে বচসা হয়েছিল মুন্নার। দু’জনের কথা-কাটাকাটি চায়ের দোকানের মালিকও শুনতে পেয়েছিলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এ কথা জানতে পারে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতদেহটি ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। দেহ উদ্ধারের সময়েই সরস্বতীর গলায় শ্বাসরোধের চিহ্ন দেখতে পায় পুলিশ। এর পরে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদে মুন্না খুনের কথা স্বীকার করে বলে পুলিশের দাবি। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, মায়ের কাছে টাকা চেয়েছিল মুন্না, সম্ভবত নেশা করার জন্য। সেই টাকা না পাওয়ার রাগ থেকেই মুন্না তার মাকে গলা টিপে খুন করে বলে সন্দেহ পুলিশের। তবে, ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারবে পুলিশ। খুনের নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

মুন্নাকে মঙ্গলবার বিধাননগর আদালতে তোলা হলে তাকে দশ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় পুলিশ। যার ভিত্তিতে বিচারক তাকে ছ’দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠান।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Murder Case Saltlake

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy