কেউ তথ্য গোপন করছেন, কেউ পরীক্ষা করাতে চাইছেন না। ফলে সময়ে চিকিৎসা না করানোয় বিপদের আশঙ্কা বাড়ছে। আবার এলাকার বাইরের কোনও হাসপাতালে ভর্তি হলে সেই খবর সময়ে মিলছে না। কখনও আবার সুস্থ হওয়ার পরে নিয়ম মানছেন না জ্বরে আক্রান্ত রোগীরা। এমনই নানা অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছেন দক্ষিণ দমদম পুর কর্তৃপক্ষ। এ বার তাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সম্পর্কে নির্দিষ্ট সময় ধরে তথ্য সংগ্রহে জোর বাড়িয়েছে পুরসভা।
পুরসভা জানিয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে জ্বরে আক্রান্তদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবেন। তবে কাজ সেখানেই শেষ নয়। সেই ব্যক্তি রক্ত পরীক্ষা করিয়েছেন কি না, ডেঙ্গি ধরা পড়লে প্লেটলেটের ওঠানামা কেমন ছিল, হাসপাতালে না বাড়িতে চিকিৎসা হয়েছে এবং সুস্থ হলেও তিনি নিয়ম মানছেন কি না, সেই সব তথ্য নিয়ে রিপোর্ট জমা দেবেন। বাসিন্দাদের একাংশের কথায়, তথ্য গোপন ছাড়াও যত্রতত্র আবর্জনা ফেলার প্রবণতা রয়েছে কারও কারও। পুরকর্মীরা বার বার সচেতনতার আবেদন জানালেও একাংশের সাড়া মিলছে না। সে ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ করুক পুরসভা, এমনই দাবি বাসিন্দাদের কারও কারও।
পুরসভা সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪০০ এবং জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০০ পেরিয়ে গিয়েছে। দু’জনের ডেঙ্গিতে এবং দু’জনের জ্বরে মৃত্যুও হয়েছে। এই অবস্থায় পুরপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেছেন পুর কর্তৃপক্ষ। সেখানে মশা নিয়ন্ত্রণ, জমা জল সরানো, আবর্জনা দূর করার জন্য গঠিত বিশেষ দলকে আরও বেশি করে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই কাজে সমন্বয় রক্ষা করবেন পুরপ্রতিনিধিরা। তবে, বেশি জোর দেওয়া হয়েছে জ্বরে আক্রান্তদের তথ্য সংগ্রহ করার উপরে। বাসিন্দাদের একাংশের কথায়, এই কাজে স্থানীয় ক্লাব, সামাজিক সংগঠন, আবাসিক সমিতিগুলিকে কাজে লাগানোর প্রয়োজন রয়েছে।
দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস জানান, পুরকর্মীরা আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গেলেও তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে অনীহা রয়েছে বাসিন্দাদের। মশাবাহিত রোগে আক্রান্তদের সম্পর্কে সময়ে তথ্য পাওয়া জরুরি। সে ক্ষেত্রে পুরসভা সময়ে পদক্ষেপ করার সুযোগ পাবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)