E-Paper

ধর্ষণ ও খুনের পরে শিশুর দেহ বস্তাবন্দি, দোষী সাব্যস্ত যুবক

সরকারি আইনজীবী শিবনাথ অধিকারী ও মাধবী ঘোষ জানান, ২০২৩ সালের ২৬ মার্চ সকালে ওই শিশুটিকে তার মা বাজারে দুধ আনতে পাঠিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে বলেছিলেন, বাড়ির আবর্জনার একটি প্যাকেট ডাস্টবিনে ফেলে আসতে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:৪১

—প্রতীকী চিত্র।

সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করলেন আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালতের বিচারক। বুধবার এই রায় দেন বিচারক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। অভিযুক্তের নাম অশোক শাহ।

সরকারি আইনজীবী শিবনাথ অধিকারী ও মাধবী ঘোষ জানান, ২০২৩ সালের ২৬ মার্চ সকালে ওই শিশুটিকে তার মা বাজারে দুধ আনতে পাঠিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে বলেছিলেন, বাড়ির আবর্জনার একটি প্যাকেট ডাস্টবিনে ফেলে আসতে। শিশুটি সকাল ৮টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। কিন্তু সাড়ে ১০টার পরেও সে না ফেরায় পরিবার তিলজলা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে। তদন্তে নেমে পুলিশ আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু করে। বিকেলে শিশুটির পরিবারের তরফে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে তদন্তকারীরা দেখেন, ওই শিশুটি ডাস্টবিনে ময়লা ফেলে আবাসনে ফিরে এসেছিল। তার পর থেকে সে নিখোঁজ।

শিশুটির পরিবার একটি পাঁচতলা বহুতলের দোতলায় থাকত। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখার পরেই আবাসনের প্রতিটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। তল্লাশি চালানো হয় পাঁচতলার বাসিন্দা অশোকের ফ্ল্যাটেও। সেখানে রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডারের পিছনে মুখ বাঁধা অবস্থায় একটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় তদন্তকারী অফিসারদের। তাঁরা বস্তাটি খুলতেই ভিতর থেকে উদ্ধার হয় রক্তাক্ত এবং হাত পিছমোড়া করে বাঁধা অবস্থায় শিশুটির মৃতদেহ।

সরকারি আইনজীবীরা বলেন, ‘‘ধর্ষণের সময়ে শিশুটির হাত পিছমোড়া করে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। মুখেও গামছা বেঁধে দেওয়া হয়। এর পরে নৃশংস ভাবে তাকে খুন
করা হয়। বাচ্চাটির সারা দেহে প্রায় ২৬টি আঘাতের চিহ্ন ছিল। মাথায় হাতুড়ি দিয়ে মারা হয়েছিল। পাশাপাশি, তার চোখ খুবলে নেওয়ারও চেষ্টা করেছিল অভিযুক্ত।’’

আদালত সূত্রের খবর, অভিযুক্তকে খুন, ধর্ষণ, তথ্যপ্রমাণ লোপাট এবং পকসোর (৬) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তাকে হেফাজতে রেখে বিচার প্রক্রিয়া চলেছে। আজ, বৃহস্পতিবার সাজা ঘোষণা করবেন বিচারক।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Alipore Court POCSO POCSO Case Minor Rape and Murder

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy