তিন কাপ চা, ছ`টা বিস্কুট আর দু`টো কেকের দাম দ্রুত মুখে মুখে হিসাব করছিল বছর বারোর কিশোরটি। মুখে মুখে হিসাব দ্রুত করছিল কারণ এক চিলতে চায়ের দোকানে পরের জন চায়ের জন্য অপেক্ষা করছেন। দোকানে ভিড় হয়ে যাচ্ছে।
সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া সমর গায়েন নামে ওই কিশোর সেক্টর ফাইভের এক তথ্যপ্রযুক্তি অফিসের সামনে তার মায়ের সঙ্গে তাদের চায়ের দোকান সামলাচ্ছিল। মা কণিকাদেবী জানান, সেই মার্চ মাসের শেষের দিকেই করোনার জন্য স্কুল বন্ধ হয়ে গেল। তার পর থেকে বাড়িতে বসে কী করবে। বাড়িতে স্মার্ট ফোন ছিল না। তাই অনলাইন ক্লাসেরও বালাই নেই। তাই তাঁদের পাঁচ নম্বর সেক্টরের চায়ের দোকানে দোকানদারিটাও শুরু করেছে সমর। স্কুল চলাকালীন কোনও দিনই দোকানমুখো হয়নি সমর।
করোনা আবহে রাজ্যের স্কুলগুলোয় অনলাইন ক্লাসের উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সত্যিকারে কত জন পড়ুয়া এতে উপকৃত হচ্ছে সেই প্রশ্ন ইতিমধ্যে উঠেছে। গ্রামগঞ্জে, প্রত্যন্ত এলাকায় অনেকেই অনলাইন ক্লাস থেকে বঞ্চিত এই অভিযোগ বারবার উঠেছে। অনেকেই স্কুল খোলা না থাকায় মা, বাবার সঙ্গে কাজে যোগ দিয়েছে এমন তথ্যও উঠে এসেছে। কিন্তু শুধুই গ্রামাঞ্চলে নয়, অভিযোগ, শহরাঞ্চলেও বহু ছাত্র স্মার্টফোন না থাকায় পড়াশোনার সঙ্গে সম্পর্ক নেই।