E-Paper

স্নাতকোত্তর স্তরেই বাধ্যতামূলক জেলা হাসপাতালে কাজ

চিকিৎসা শিক্ষায় যুক্তেরা জানাচ্ছেন, বছরকয়েক আগে ডাক্তারির স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনায় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের তরফে ‘কম্পিটেন্সি বেসড কারিকুলাম’-এর উপরে জোর দেওয়া হয়েছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৩ ০৭:৩৮
A Photograph of Medical College

মেডিক্যাল কলেজে স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনার সময়েই তিন মাসের জন্য জেলা হাসপাতালে কাজ করতে যেতে হবে পিজিটি বা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিদের। ফাইল ছবি।

এমডি-এমএস পাশ করার পরে বন্ড সার্ভিসের ক্ষেত্রে এ রাজ্যের চিকিৎসকদের জেলা বা মহকুমা স্তরের হাসপাতালে কাজ করতে যেতে হয়। কিন্তু এ বার মেডিক্যাল কলেজে স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনার সময়েই তিন মাসের জন্য জেলা বা মহকুমা হাসপাতালে কাজ করতে যেতে হবে পিজিটি বা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিদের। দেশে জুড়ে এমনই নিয়ম চালু করেছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন। সেই মতো রাজ্যেও নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর।

জানা যাচ্ছে, সরকারি-বেসরকারি সব মেডিক্যাল কলেজের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডিস্ট্রিক্টরেসিডেন্সি প্রোগ্রাম’। স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনার পাশাপাশি সামাজের প্রতিটি স্তরেই যোগসূত্র বৃদ্ধি করা প্রয়োজন পিজিটিদের। না হলে পরবর্তী সময়ে সমস্যা হতে পারে। আবার, অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের ছত্রচ্ছায়ার বাইরে গিয়েও যাতে স্বতন্ত্র ভাবে তাঁরা পরিষেবা দিতে পারেন, সেই দিকটিতেও জোর দেওয়া হচ্ছে। জেলা ও মহকুমা স্তরের হাসপাতাল এই চিকিৎসকদের পাওয়ায় পরিষেবাতেও কিছুটা সুবিধা হবে বলে মত স্বাস্থ্যকর্তাদের।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, প্রতিটি জেলা, মহকুমা ও সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে পিজিটিদের সুসংহত ভাবে কাজে লাগানোর জন্য এক জন করে প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর থাকবেন। পিজিটিদের দায়িত্ব বণ্টন, কাজের রস্টার— সব তিনিই তৈরি করবেন। স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবস্থার ক্লিনিক্যাল, নন-ক্লিনিক্যাল, প্যারা-ক্লিনিক্যাল— এই তিন বিষয়ের পিজিটিরাই ওই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। অর্থাৎ মেডিসিন, শিশুরোগ, স্ত্রীরোগ, নাক-কান-গলা, চক্ষু থেকে শুরু করে অ্যানাটমি, ফিজ়িয়োলজি, বায়োকেমিস্ট্রি এবং মাইক্রোবায়োলজি, প্যাথলজি বিভাগের স্নাতকোত্তর স্তরের পড়ুয়ারা যাবেন।

চিকিৎসা শিক্ষায় যুক্তেরা জানাচ্ছেন, বছরকয়েক আগে ডাক্তারির স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনায় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের তরফে ‘কম্পিটেন্সি বেসড কারিকুলাম’-এর উপরে জোর দেওয়া হয়েছিল। তারই আওতায় রয়েছে এই ডিস্ট্রিক্ট রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম। আপাতত প্রথম পর্যায়ে কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পিজিটিদের পাঠানো হচ্ছে। আগামী দিনে ধাপে ধাপে সকলকেই এই কর্মসূচিতে পাঠানো হবে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kolkata Medical College Medical Students

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy