Advertisement
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
Child Trafficking

শিশু বিক্রি চক্রে সন্ধান সারোগেসি যোগের

বিহারের কোথায় কোন আইভিএফ সেন্টারে ওই শিশুটির জন্ম হয়েছিল, বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি তদন্তকারীরা।

শিশু বিক্রির চক্রে এ বার সারোগেসির যোগ।

শিশু বিক্রির চক্রে এ বার সারোগেসির যোগ। —প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:২৩
Share: Save:

শিশু বিক্রির চক্রে এ বার সারোগেসির যোগ। সিআইডির দাবি, রবিবার সকালে শালিমার স্টেশনের বাইরে ধৃত দম্পতি যে দু’দিনের শিশুটিকে বিক্রির জন্য বিহার থেকে নিয়ে এসেছিল, সেই শিশুর জন্ম সারোগেসির মাধ্যমে। বিহারের কোথায় কোন আইভিএফ সেন্টারে ওই শিশুটির জন্ম হয়েছিল, বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি তদন্তকারীরা। তবে তাঁরা এ বিষয়ে নিশ্চিত যে, শিশু বিক্রি চক্রে সারোগেসি যোগ রয়েছে।

এই ঘটনায় ধৃত মানিক হালদারকে নিয়ে বৃহস্পতিবার বিহারের কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। পাশাপাশি, কলকাতায় মানিকের বাড়িতে মুকুলকে নিয়ে গিয়েও তল্লাশি চলে। তবে, কোথায় কোথায় তল্লাশি হয়েছে, তা নিয়ে সিআইডির কর্তারা কিছু বলতে চাননি। বেহালার একটি আইভিএফ সেন্টারে এসি মেকানিক হিসাবে কাজ করার সময় থেকেই শিশু বিক্রির কারবারে মানিক জড়িয়ে পড়ে বলে দাবি করেছে। মানিকের স্ত্রী, গ্রেফতার হওয়া মুকুল হালদারও বিবাহ-বিচ্ছিন্না। তার সঙ্গে ওই কাজের সূত্রেই আলাপ হয় মানিকের।

প্রাথমিক ভাবে গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, বিহারের যে মহিলার থেকে শিশুটিকে আনা হয়েছিল, সেই জন্মদাত্রী বিবাহ-বিচ্ছিন্না। তাঁর খোঁজ চলছে। সিআইডির অনুমান, শিশু বিক্রি চক্রের চাঁইয়েরা দুঃস্থ মহিলাদের সারোগেসির কাজে ব্যবহার করত। পরে সেই শিশুটিকে বিক্রি করা হত। এর পিছনে আইভিএফ সেন্টার এবং বেআইনি নার্সিংহোমগুলি রয়েছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। এর আগে আনন্দপুরে শিশু পাচারের ঘটনায় সারোগেসি যোগের প্রসঙ্গ উঠেছিল। সেখানে একটি আইভিএফ সেন্টারের যোগ পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। গ্রেফতার হয়েছিল কয়েক জন।

সিআইডির এক কর্তা জানান, ধৃত মানিক পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই চক্রে জড়িত। এই সময়ে কত জন শিশুকে সে বিক্রি করেছে, তা এখনও জানা যায়নি। তবে কলকাতা-সহ বাইরের রাজ্যে সে শিশু বিক্রি করেছে, এমনটাই জানান তদন্তকারীরা। তাঁরা জানান, গত কয়েক বছরে কলকাতা এবং আশপাশের জেলায় অনেকগুলি সদ্যোজাত বিক্রির ঘটনা সামনে এসেছে, যেগুলির তদন্ত হয়েছে। ওই সব ঘটনার সঙ্গে মানিকের যোগাযোগ আছে কিনা, তা দেখা হচ্ছে।

তদন্তকারীদের দাবি, মানিকের কথায় কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। তার একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান মিলেছে। সেখানে গত কয়েক বছরে মোটা টাকার লেনদেন হয়েছে। সেই সূত্র ধরে কোথায় কোথায় শিশু বিক্রি হয়েছে, তার শেষ পর্যন্ত পৌঁছতে চাইছে সিআইডি। উল্লেখ্য, দুই থেকে দশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত এক-একটি শিশুকে বিক্রির জন্য নিত মানিক।

অন্য বিষয়গুলি:

surrogecy Children police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy