—প্রতীকী ছবি।
দীর্ঘদিন ধরেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিল সে। এমনকি, পুলিশকে ধোঁকা দিতে তিন-তিনটি মোবাইলও বদল করেছিল। কিন্তু এত করেও পার পাওয়া গেল না। হাসপাতালে ভর্তি স্ত্রী ও সদ্যোজাত সন্তানকে দেখতে এসে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেল একটি চুরির মামলায় অভিযুক্ত ওই দুষ্কৃতী। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম রণজিৎ যাদব। তার বাড়ি বিহারের মধুবনীতে। বৃহস্পতিবার রাতে রণজিৎকে সেখানকার একটি হাসপাতালের বাইরে থেকে গ্রেফতার করে শেক্সপিয়ার সরণি থানার পুলিশের একটি দল। ধৃতকে শুক্রবার কলকাতায় এনে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশি হেফাজত দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গত নভেম্বরে শেক্সপিয়র সরণি থানার রডন স্ট্রিটের একটি আবাসনের বাসিন্দা এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, তাঁর ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার সোনা এবং হিরের গয়না খোয়া গিয়েছে। দীপাবলি উপলক্ষে ওই গয়না বাড়িতে রেখেছিলেন তাঁরা। একই সঙ্গে দেখা যায়, ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা বাড়ির পরিচারক রণজিৎও। সে অবশ্য ছটপুজো উপলক্ষে ছুটি নিয়েছিল। কিন্তু ছটপুজো মিটে যাওয়ার পরেও তার সঙ্গে যোগাযোগ না করতে পেরে ওই ব্যবসায়ী পুলিশের দ্বারস্থ হন।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই ব্যবসায়ীর পরিবার তিন মাস আগে এক জনের মধ্যস্থতায় রণজিৎকে কাজে নিয়োগ করেছিল। কিন্তু তার বিস্তারিত তথ্য পরিবারের লোকেরা সংগ্রহ করেননি কিংবা থানাতেও জমা দেননি। তদন্তে নেমে প্রাথমিক ভাবে তাই মুশকিলে পড়ে পুলিশ। এক তদন্তকারী জানান, রণজিৎ যে মোবাইল নম্বর ব্যবহার করত, সেটি বন্ধ ছিল। কিন্তু ওই ফোন নম্বরের বিস্তারিত তথ্য বিশ্লেষণ করে কয়েকটি নম্বর পাওয়া যায়। যার সূত্র ধরে জানা যায়, অভিযুক্ত রয়েছে মধুবনীতে।
তদন্তকারীদের দাবি, এর আগে দু’বার মধুবনীতে হানা দিয়েও রণজিতের সন্ধান মেলেনি। বৃহস্পতিবার পুলিশ জানতে পারে, রণজিতের সন্তান হয়েছে। তার স্ত্রী মধুবনীরই একটি হাসপাতালে ভর্তি। সেখানে আসার কথা রয়েছে রণজিতের। সেই মতো ওত পেতে তাকে ধরা হয়। পরে অভিযুক্তের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় খোয়া যাওয়া গয়নার বড় অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy