সকাল থেকেই পুকুরের ঘাটে দুর্গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। ছিন্নভিন্ন প্লাস্টিকের গায়ে রক্তের দাগ দেখে মাছের আঁশ লেগে রয়েছে ভেবেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা আঞ্জুরা বিবি। কিন্তু নজর ঘোরাতেই আঁতকে ওঠেন তিনি। একটি বস্তার উপরে পড়ে সদ্যোজাত শিশুকন্যার দেহ। রবিবার হাতিয়াড়ার মাঝেরপাড়া থেকে খবর পেয়ে ওই সদ্যোজাতের দেহ উদ্ধার করে নিউ টাউন থানার পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ পুকুরের ঘাটে বাসন ধুতে যান আঞ্জুরা। তখনই ওই দৃশ্য দেখতে পান তিনি। আঞ্জুরার স্বামী শেখ সুভান আলি জানান, শনিবার পুকুরে একটি বহুজাতিক সংস্থার বিপণির সাদা রঙের ক্যারিব্যাগ ঘাটের কাছে ভাসছিল। সুভানের কথায়, ‘‘সকালে ক্যারিব্যাগটি ভাসতে ভাসতে পুকুরের পাড়ে চলে আসে। একটি কুকুর প্লাস্টিক ধরে টানাটানি করছিল। ক্যারিব্যাগের ভিতরে প্লাস্টিকে মোড়া অবস্থায় দেহটি ছিল। কুকুরে সেটি ছিঁড়ে ফেললে দেহটি বেরিয়ে আসে।’’ আঞ্জুরার কথায়, ‘‘শিশুটির বাঁ হাত পিছনের দিকে ছিল। দু’টি পা এমন ভাবে রাখা ছিল, দেখে মনে হবে শিশুটি পাশ ফিরে শুয়ে আছে।’’
বাসিন্দাদের বক্তব্য, জলাশয়ের অপর প্রান্তে রায়পাড়া রোড দিয়ে সব সময়ে গাড়ি যাতায়াত করে। রাতের অন্ধকারে সেখান দিয়েই ক্যারিব্যাগটি কেউ ফেলে দিয়েছে বলে তাঁদের বক্তব্য। এলাকার বাসিন্দা আফসানা খাতুনের কথায়, ‘‘মেয়ে বলেই বুঝি এমন জঞ্জালের মতো করে জলে ফেলে দিয়েছে!’’ স্থানীয় সিপিএম কাউন্সিলর মোহসিন আহমেদ বলেন, ‘‘স্থানীয় কেউ এই ঘটনায় যুক্ত বলে মনে হয় না। বড় রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে কেউ ফেলে দিয়ে গিয়ে থাকতে পারে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, কী ভাবে দেহটি মাঝেরপাড়ায় এল, তার তদন্ত হচ্ছে।