—প্রতীকী চিত্র।
বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তারই অঙ্গ হিসেবে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য থানাগুলিকে নির্দেশ দিল লালবাজারের ইলেকশন সেল। প্রতি সপ্তাহের তথ্য শুক্রবার পাঠাতে বলা হয়েছে। লালবাজারের তরফে কলকাতা পুলিশের থানাগুলির কাছে বৃহস্পতিবারই ২১ পাতার ওই নির্দেশ পৌঁছে গিয়েছে। সব থানা থেকে ওই রিপোর্ট জমা পড়ার পরে তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে নির্বাচন কমিশনে।
এলাকায় গোলমাল সৃষ্টিকারী বা দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, কতগুলি গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করা হয়েছে, কত অস্ত্র বা বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে, কোনও রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে কি না— সব ওই সাপ্তাহিক রিপোর্টে জানাতে বলা হয়েছে। এরই সঙ্গে একটি নির্দিষ্ট থানা এলাকায় ক’টি বুথ ও ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে, তার মধ্যে কতগুলি সংবেদনশীল ছিল, জানাতে বলা হয়েছে সেই তথ্য। কোনও নির্বাচনে অভিযোগ রয়েছে কি না, থাকলে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে— সে সব জানতে চাওয়া হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধারের পরিমাণ, কত টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে বা কত পরিমাণ মদ বাজেয়াপ্ত হয়েছে, সেই তথ্যেরও সাপ্তাহিক রিপোর্ট পাঠাবে থানাগুলি।
উল্লেখ্য, মাস দুয়েক আগেই পুলিশের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। পুলিশ জানিয়েছে, এর আগে জানতে চাওয়া হয়েছিল, বিগত লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটে কোথায় বেশি অশান্তি ছড়িয়েছিল বা গোলমাল হয়েছিল বা কতগুলি মামলা রুজু হয়েছিল। সেই সব মামলার অবস্থা কী, জানতে চেয়েছিল কমিশন। পাশাপাশি গত তিনটি ভোটের দিন কোথায় কত কেন্দ্রীয় বাহিনী বা রাজ্য বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল, সে সবও প্রশ্ন-তালিকায় ছিল। ভোটের সময়ে আদর্শ আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার তথ্য আগেই নিয়েছে কমিশন।
ভোট আসতে এখনও কয়েক মাস বাকি। পুলিশের একটি অংশের মতে, কমিশন আগে থেকে সব তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে রাখতে চাইছে। যাতে ভোট প্রক্রিয়া শুরু হলে সেই মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। এক পুলিশকর্তা জানান, এই রিপোর্ট চাওয়া নতুন নয়। রিপোর্ট খতিয়ে দেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy