তনভি আগরওয়াল এবং অনুরাগ সাহা।
সব বিষয়েই একশোয় একশো! শুধু ইংরেজিতে ৯৯। আর তাতেই পাঁচশোর মধ্যে প্রাপ্ত নম্বর দাঁড়িয়েছে ৪৯৯। সিবিএসই-র দশমে ৯৯.৮ শতাংশ নম্বর পেয়েছে লক্ষ্মীপত সিঙ্ঘানিয়া অ্যাকাডেমির ছাত্রী তনভি আগরওয়াল। তবে মুখ বুজে পড়াশোনায় সে বিশ্বাসী নয়। বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলোয় সমান উৎসাহী তনভি তাই জানিয়ে দিল, ‘‘অনলাইনে পড়াশোনায় অসুবিধা না হলেও অফলাইনে পড়াশোনাকেই এগিয়ে রাখব। স্কুলে গেলে তো শুধু পড়াশোনাই নয়, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা, খেলাধুলো হয়।’’
পড়াশোনার পাশাপাশি বাস্কেটবল খেলতে ভালবাসে তনভি। করোনার জন্য বাড়িতে থাকায় দীর্ঘ দু’বছর বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়নি। আর বাকিদের মতো এ জন্য মন খারাপ থাকত তনভিরও। ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চায় সে। তার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে।দশমের প্রস্তুতিতে স্কুলের পড়া খুব ভাল ভাবে করত তনভি। কোথাও খটকা লাগলে সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষকদের দেখিয়ে নিত। সারা বছর পড়েছে বলেই পরীক্ষার আগে তাকে আলাদা ভাবে চাপ নিতে হয়নি।
৯৯.৬০ শতাংশ পেয়ে তার স্কুলে সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে ডিপিএস রুবি পার্কের ছাত্র অনুরাগ সাহা। অনুরাগ জানাচ্ছে, এই নম্বর তার প্রত্যাশিতই ছিল। স্কুলের পরীক্ষাতেও এ রকমই নম্বর পেত সে। ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চায় অনুরাগ। তার প্রস্তুতির মূলমন্ত্র ছিল, বাড়িতে বসে বার বার নিজেই প্রশ্নোত্তর লিখে যাওয়া।
সাউথ পয়েন্ট স্কুলের অন্যতমা ভট্টাচার্যও ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চায়। ৯৯.৪ শতাংশ নম্বর পেয়েছে সে। অন্যতমার বাবা শুভেন্দুবিকাশ ভট্টাচার্য জানাচ্ছেন, স্কুলের পড়াশোনাই ভাল ভাবে করত মেয়ে। শুভেন্দু বলেন, ‘‘গত দু’বছর খুবই কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে ওদের যেতে হয়েছে। নবম শ্রেণিতে তো কোনও দিন স্কুলেই যেতেহয়নি ওকে।’’ নিজেও কৃতী ছাত্র শুভেন্দুবাবু এক জন চিকিৎসক। ১৯৮৪ সালে মাধ্যমিকে তিনি দ্বিতীয় এবং ১৯৮৬ সালে উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছিলেন হিন্দু স্কুল থেকে। বিজ্ঞান, অঙ্ক ও ইংরেজির গৃহশিক্ষক ছিল অন্যতমার।
সাউথ পয়েন্ট থেকেই ৯৯.৪ শতাংশ নম্বর পেয়েছে ঈশিতা ভট্টাচার্য। ঈশিতার দিদি কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করে বর্তমানে আমেরিকায় কর্মরত। দিদিই তার অনুপ্রেরণা। ঈশিতা জানাচ্ছে, দিদির মতোই কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করতে চায় সে-ও। দিদির সঙ্গে নিয়মিত ফোনে কথা বলে পড়াশোান সংক্রান্ত নানা পরামর্শ নেয়। ঈশিতার অভিভাবকেরা জানাচ্ছেন, কোনও দিন পড়তে বসার কথা বলতে হয়নি মেয়েকে। নিজের পড়া সময় মতো করত সে। এর বাইরে সে সাঁতার কাটতে ভালবাসে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy