E-Paper

তরুণী বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু, ধৃত স্বামী-সহ তিন

সুস্মিতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, চার বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়েছিল বিশ্বজিতের সঙ্গে। তাঁদের আড়াই বছরের একটি সন্তানরয়েছে। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক অশান্তি লেগেই ছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২৫ ০৮:৩৯
মৃতার নাম সুস্মিতা সরকার (২৩)।

মৃতার নাম সুস্মিতা সরকার (২৩)। —প্রতীকী চিত্র।

নিমতা থানার অধীনে শ্রীদুর্গাপল্লিতে রবিবার এক গৃহবধূর অস্বাভাবিকমৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম সুস্মিতা সরকার (২৩)। এই ঘটনায় মৃতার স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে তাঁর পরিবার। ঘটনার তদন্তে নেমে নিমতা থানার পুলিশ মৃতার স্বামী বিশ্বজিৎ দাস (২৭), শ্বশুর প্রবীর দাস (৪৮) এবং শাশুড়ি কৃষ্ণা দাসকে (৪২) গ্রেফতার করেছে।

সুস্মিতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, চার বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়েছিল বিশ্বজিতের সঙ্গে। তাঁদের আড়াই বছরের একটি সন্তানরয়েছে। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক অশান্তি লেগেই ছিল। মাঝে স্বামী-সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে আলাদা থাকতেন সুস্মিতা। পরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন বুঝিয়ে তাঁদের ফেরত নিয়ে যান। তার কয়েক মাসের মধ্যেই এই ঘটনা।

সুস্মিতার পরিবারের তরফে অভিযোগ, রবিবার তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন করে বলা হয়, ওই তরুণীকে কামারহাটির সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।পরে বলা হয়, সাগর দত্ত হাসপাতাল থেকে উত্তর দমদম পুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সুস্মিতাকে। সেখানে পৌঁছনোর পথে ফের শ্বশুরবাড়ির তরফে জানানো হয় যে, সুস্মিতা মারা গিয়েছেন।তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আসা হচ্ছে। এতেই সন্দেহ হয় সুস্মিতার পরিবারের। এর পরে নিমতার শ্রীদুর্গাপল্লির বাড়িতে পৌঁছন তাঁরা। খবর দেওয়া হয় নিমতা থানায়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ওই বধূকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনায় পরিবারের তরফে ওই তরুণীকে খুন করা হয়েছে বলে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, বধূর দেহের ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, সে বিষয়ে জানতে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, রবিবার সুস্মিতা নিজের সন্তানকে খাওয়ানোর সময়ে কোনও একটি বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কারও অশান্তি হয়েছিল। এর পরে শৌচাগার থেকে ওই বধূকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বলে দাবি করেছেন অভিযুক্তেরা। যদিও তাঁদের সেই দাবি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

police investigation Mysterious death

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy