প্রতীকী ছবি।
চুরির পরে তারকেশ্বরে শিবের মাথায় জল ঢালতে গিয়েছিল তিন যুবক। তাতে অবশ্য পুলিশের হাত থেকে রেহাই মেলেনি। শেষমেশ ঠাঁই
হয়েছে শ্রীঘরেই।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম বিষ্ণু সর্দার ওরফে হাসা, সুমন দে ওরফে ঘেটা এবং রঞ্জন দাস। এদের মধ্যে বিষ্ণুর বাড়ি সোনারপুরে। অন্য দু’জন মুকুন্দপুরের বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, গত ৩১ জুলাই রাত সা়ড়ে দশটা নাগাদ সার্ভে পার্ক থানা এলাকার সন্তোষপুর ব্রিজের কাছে নিজের গয়নার দোকান বন্ধ করে পুজো করছিলেন রাজেশচন্দ্র পাল। তিনি পুলিশে অভিযোগ করেন, দোকানের শাটার টেনে প্রণাম সেরেই দেখেন, পাশে রাখা ব্যাগটি উধাও। ওই ব্যাগে গয়না, নগদ টাকা ও দামি মোবাইল-সহ প্রায় পনেরো লক্ষ টাকা ছিল।
তদন্তে নেমে পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে ওই তিন জনকে চিহ্নিত করে। তদন্তকারীরা জানান, চুরির আগে বেশ কিছু দিন ধরে খোঁজখবর করেছিল ধৃতেরা। এমনকি, চুরি করার প্রায় এক ঘণ্টা আগে ঘটনাস্থলের আশপাশে সাইকেল নিয়ে ঘুরছিল বিষ্ণু। সেই রাতে ওই দোকানের অদূরেই লুকিয়েছিল সে। বিষ্ণুর থেকে মোবাইলে সবুজ সঙ্কেত পেয়ে সুমন এবং রঞ্জন মোটরবাইকে চেপে এসে রাজেশবাবুর ব্যাগটি তুলে নিয়ে পালায়। তদন্তকারীরা জানান, মোটরবাইকটি চালাচ্ছিল রঞ্জন। পিছনে বসে সুমন ব্যাগটি তুলে নেয়।
সোমবার সার্ভে পার্ক থানার পুলিশ স্থানীয় এক যুবককে অভিযুক্তদের ছবি দেখালে জানতে পারে যে দিন চারেক আগে তিন অভিযুক্তই তারকেশ্বরে পুজো দিতে গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, চুরির পরে দু’টি নতুন মোটরবাইক ও দু’টি দামি মোবাইলও কিনে ফেলেছিল ধৃতেরা। তিন অভিযুক্তের মধ্যে এক জনের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে পুলিশ। এর পরে মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন খতিয়ে পুলিশ বুঝতে পারে, ওই তিন জন যুবক সোমবার সন্ধ্যায় তারকেশ্বর থেকে বাড়ির দিকে রওনা হয়েছে। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ মুকুন্দপুরের কাছে ই এম বাইপাস থেকে গ্রেফতার করা হয় তিন জনকে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তেরা ট্রেন থেকে হাওড়ায় নেমে মুকুন্দপুরগামী একটি বেসরকারি বাসে উঠেছিল।
ওই বাসে উঠেই পুলিশ তাদের পাকড়াও করে। ধৃতদের থেকে চুরি যাওয় সামগ্রী ও নগদ টাকার একাংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। চুরির টাকায় কেনা দু’টি মোটরবাইক ও মোবাইলও উদ্ধার হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy