প্রতীকী ছবি।
এগিয়ে আসছে পুর নির্বাচন। তাই বারাসত সাংগঠনিক জেলার বিভিন্ন পুর এলাকায় সংগঠন মজবুত করতে তৎপর হয়েছেন জেলা নেতৃত্ব। তবে সংগঠন বাড়ানোর নামে যাঁকে-তাঁকে দলে নেওয়ার প্রশ্নেও সতর্ক তাঁরা।
বৃহস্পতিবার ছিল বারাসত সংসদীয় জেলার বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান। সেখানে বারাসতের সাংসদ এবং বিধাননগর, নিউ টাউন ও মধ্যমগ্রামের বিধায়কদের পাশাপাশি শহর, পঞ্চায়েত-সহ বিভিন্ন স্তরের নেতারা ছিলেন। জেলা নেতৃত্ব জানিয়ে দেন, ভোট আসছে বলেই ইচ্ছেমতো লোকজনকে দলে নেওয়া যাবে না। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ মেনেই যোগদান করানো যাবে। এর পাশাপাশি, বিধাননগর পুর এলাকার এক নেতাকে বলা হয়, তিনি নিজে কোনও কমিটি তৈরি না করে কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশই যেন মেনে চলেন।
কেন এই সতর্কবার্তা? সূত্রের খবর, পুজোর সময়ে সল্টলেকের সিই ব্লকের এক কর্মকর্তা রাস্তায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নিজের ছবি দিয়ে হোর্ডিং দিয়েছিলেন। তা নিয়ে জোর ঝামেলা শুরু হয়। তৃণমূলের ১১৬ বিধাননগরের চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক ও মন্ত্রী সুজিত বসু প্রশ্ন তুলেছিলেন ওই হোর্ডিংয়ের আইনি প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে। তাঁর দাবি ছিল, ওই ব্যক্তি তৃণমূলের কেউ নন।
এ দিকে, ওই হোর্ডিং ছেঁড়ার ঘটনায় সুজিতবাবুর ছেলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সেই ব্যক্তিও। পাল্টা তাঁর বিরুদ্ধেও তৃণমূলের সাংগঠনিক পরিচিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে একাধিক স্থানীয় নেতা পুলিশে অভিযোগ জানান। ওই ব্যক্তির দাবি ছিল, তিনি পুরনো তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলের মুখ্যমন্ত্রী। সেই হিসাবেই তিনি ওই হোর্ডিংয়ে নিজের ছবি দিয়েছিলেন।
এ দিন বারাসত সংসদীয় জেলার তৃণমূল সভাপতি অশনি মুখোপাধ্যায় জানান, মুখ্যমন্ত্রী সকলের, এমন দাবি করা যেতেই পারে। তা বলে যে কেউ তাঁর ছবির সঙ্গে নিজের ছবি দিতে পারেন কি না, সেটা আলোচনাসাপেক্ষ। তিনি বলেন, ‘‘বিধাননগর টাউন তৃণমূলের সভাপতি সিই ব্লকের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগের প্রতিলিপি জেলা নেতৃত্বকে দিয়েছেন। সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে, ইচ্ছেমতো কাউকে দলে নেওয়া যাবে না। অনুশোচনার কথা বলে যে কেউ ভোটের মুখে এসে দলে ঢুকতে চাইবেন, সেটা হবে না। নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে হবে।’’
এ দিন শহর তৃণমূলের নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যে সব জায়গায় শহরের সভাপতি বদল হয়েছেন, দ্রুত সেখানে কমিটি তৈরি করতে হবে। বিধাননগর, অশোকনগর, বারাসত, দেগঙ্গায় শহরের কমিটি তৈরি করতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy