৩১ মে কলকাতায় অনুষ্ঠানের পরে মৃত্যু হয় গায়ক কেকে-র। ফাইল চিত্র
কলকাতায় কেকে-র অনুষ্ঠানে কত খরচ হয়েছিল? এত টাকা কোথা থেকে আসে? শনিবার এমনই প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়। এর পরে সোমবারই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে অনুষ্ঠান বাবদ কত খরচ হয়েছে তার হিসাব সৌগতকে পাঠানো হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন ওই ছাত্র সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। সৌগত বলেছিলেন, ‘‘৩০ লাখ না ৫০ লাখ কত যেন লেগেছে শুনলাম!’’ তৃণাঙ্কুর জানিয়েছেন, বিদ্যাসাগর কলেজ ও স্যর গুরুদাস মহাবিদ্যালয়ের ফেস্ট মিলিয়ে মোট খরচ হয় ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকার মতো। তৃণাঙ্কুর যে হিসাব পাঠিয়েছেন সে কথা স্বীকার করলেও তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি সৌগত।
গত ৩১ মে কলকাতার নজরুল মঞ্চের অনুষ্ঠানের পরে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয় মৃত্যু হয় কেকে-র। তখন থেকেই বিতর্কের শুরু। খরচ নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। সেই প্রসঙ্গ টেনেই শনিবার বরাহনগরে টিএমসিপির এক অনুষ্ঠানে সৌগত বলেন, “এই যে কেকে গান গাইতে এসে মারা গেলেন। আমি শুধু ভাবি যে, এত টাকা কোথা থেকে এল! ৩০ লাখ না ৫০ লাখ কত যেন লেগেছে শুনলাম! টাকা তো হাওয়া থেকে আসে না।” দলের ছাত্র সংগঠনের উদ্যোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে সৌগত বলেছিলেন, ‘‘এত টাকা দিয়ে এ সব করতে গেলে কারও না কারও কাছে সারেন্ডার করতে হয়। এলাকার মস্তান নয়তো প্রোমোটারের কাছে। প্রথমেই যদি সারেন্ডার কর, তা হলে বাকি জীবন লড়াই করবে কী করে?” সৌগতর তোলা সব প্রশ্নেরই উত্তর তিনি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তৃণাঙ্কুর।
আনন্দবাজার অনলাইনকে তৃণাঙ্কুর বলেন, ‘‘আমি ব্যক্তিগত ভাবেই সব হিসাব সৌগতদাকে পাঠিয়েছি। উনি প্রবীণ নেতা। ওঁর কোথাও বুঝতে ভুল হয়েছিল। আমি সবটা জানানোর পরে উনি সন্তুষ্ট হয়েছেন।’’ তৃণাঙ্কুর আরও বলেন, ‘‘ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকে কোনও টাকাই খরচ করা হয়নি। গত তিন বছর ধরে কলেজের সোশ্যাল হয়নি। সেই বাবদ ছাত্রছাত্রীদের থেকে নেওয়া টাকা কলেজের অ্যাকাউন্টে রাখা ছিল। সেখান থেকেই অনলাইনে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থাকে টাকা মেটানো হয়। সব মিলিয়ে খরচ হয়েছিল ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকার মতো। সেই নথি আমি ব্যক্তিগত ভাবে সৌগতদাকে মেল করে পাঠিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy