Advertisement
E-Paper

রবিবারের শহরে পরপর দু’টি আগুন

ছুটির দিনে শহরের দুই জায়গায় দু’টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। তবে কোনওটিতেই কেউ হতাহত হননি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৬ ০১:৩০
চলছে খাঁচা কাটার কাজ। রবিবার, নেতাজি সুভাষ রোডে। — নিজস্ব চিত্র

চলছে খাঁচা কাটার কাজ। রবিবার, নেতাজি সুভাষ রোডে। — নিজস্ব চিত্র

ছুটির দিনে শহরের দুই জায়গায় দু’টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। তবে কোনওটিতেই কেউ হতাহত হননি।

পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন বিকেল সাড়ে পাঁচটায় মহাকরণের পিছনে নেতাজি সুভাষ রোডে একটি বহুতলের নীচ থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। আতঙ্ক ছ়ড়ায় উপরের আবাসনে। দোতলায় থাকা কয়েকটি পরিবার নেমে আসে রাস্তায়। স্থানীয় বাসিন্দারাই দমকলে খবর দেন। পাঁচটি ইঞ্জিন ঘণ্টা দেড়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই বাড়ির একতলায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত এবং একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের শাখা রয়েছে। একতলা এবং চারতলা ছাড়া অন্য তলগুলিতেও ছ়়ড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন অফিস। বাড়িটির দোতলায় মূলত ওই অফিসগুলির কর্মচারীরাই থাকেন। এঁদের এক জন অশোক বেক্টর বলেন, ‘‘হঠাৎ দেখি একতলা থেকে গলগল করে ধোঁয়া বেরোচ্ছে।’’

দমকল সূত্রে খবর, ওই বাড়ির পিছনের দিকে একটি পরিত্যক্ত লিফ্‌ট আছে। তার আশপাশে কাঠ ও তারের জালি দিয়ে একটি খাঁচা তৈরি করে রাখা ছিল। সেখানে মজুত ছিল বিভিন্ন আসবাবপত্র, তার এবং টিনের সরঞ্জাম। ওই কাঠামোর পাশেই ছিল বহু পুরনো বৈদ্যুতিক সংযোগের তার। দমকলের অনুমান, ওই তারে শর্ট সার্কিটের জেরেই আগুন লাগে।

দমকলকর্মীরা প্রথমে গ্যাস কাটার দিয়ে কাঠ ও তারের জালির খাঁচাটি কেটে আসবাবপত্রগুলি বার করেন। এর পরেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। দমকল দফতরের উত্তর কলকাতার ডিভিশনাল অফিসার কমলকুমার নন্দী বলেন, ‘‘ওই জায়গায় কোনও অগ্নি-নির্বাপক যন্ত্র ছিল না। ফলে একটু দেরি হলে বড় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারত।’’ তিনি জানান, ওই বহুতলের অন্য অফিসগুলিতেও যথাযথ অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান দমকলমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়।

এই ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই এ দিন বিকেল ৫টা ১০ নাগাদ কাশীপুর রোডে বস্তি লাগোয়া একটি চারতলা ফ্ল্যাটের একতলায় একটি ঘরে আগুন লাগে। তখন ওই ঘরে কেউ ছিলেন না। ধোঁয়া দেখে ফ্ল্যাটের অন্য বাসিন্দারা খবর দেন দমকলে। পৌঁছয় পাঁচটি ইঞ্জিন। ঘরটি বন্ধ থাকায় বাড়ির দরজা ভেঙে ঢোকেন দমকল কর্মীরা। আধ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভে। দমকলের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ওই ঘরে একটি পুরনো ফ্রিজ ছিল। সেটির সুইচ থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে।’’ দমকলের অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই এই বিপত্তি।

Fire Kolkata
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy