E-Paper

অস্ত্র-সহ দক্ষিণেশ্বর থেকে ধৃত বিহারের দুই দুষ্কৃতী

পুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করা হয় বিহারের বৈশালী জেলার বাসিন্দা ওই দুই দুষ্কৃতীকে। তাদের নাম সুমন কুমার ও অমিত কুমার। দু’জনের কাছেই ওয়ান শটার পিস্তল ছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২৪ ০৮:২৬

—প্রতীকী চিত্র।

দক্ষিণেশ্বর মন্দির থেকে কয়েকশো মিটার দূরেই অতিথি নিবাস। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে ভাড়া নেওয়া একটি ঘর থেকে গ্রেফতার করা হল দুই দুষ্কৃতীকে। উদ্ধার করা হয়েছে দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র ও আট রাউন্ড গুলি। কী উদ্দেশ্যে ভিন্ রাজ্যের ওই দুষ্কৃতীরা এখানে এসেছিল, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করা হয় বিহারের বৈশালী জেলার বাসিন্দা ওই দুই দুষ্কৃতীকে। তাদের নাম সুমন কুমার ও অমিত কুমার। দু’জনের কাছেই ওয়ান শটার পিস্তল ছিল। ধৃতদের শুক্রবার ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। দক্ষিণেশ্বর থানার পুলিশ ওই দুই দুষ্কৃতীকে হেফাজতে নিলেও, পাশাপাশি ব্যারাকপুর সিটি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগও বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। সম্প্রতি বেলঘরিয়ায় ব্যবসায়ী অজয় মণ্ডলের উপরে গুলি চালানো এবং আর এক ব্যবসায়ী তাপস ভগতকে ফোনে হুমকি ও পরবর্তী সময়ে ব্যারাকপুরের এক বিরিয়ানি ব্যবসায়ীকেও হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সবেতেই বিহারের কুখ্যাত দুষ্কৃতী সুবোধ সিংহের যোগ রয়েছে বলে পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে। সেখানে আচমকাই বিহারের দুই দুষ্কৃতীকে কে বা কারা এবং কী উদ্দেশ্যে নিয়ে এল, তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদেরও।

ব্যারাকপুর পুলিশের এক কর্তার কথায়, ‘‘কী উদ্দেশ্যে ওই দুষ্কৃতীরা ঘাঁটি গেড়েছিল, তা দেখা হচ্ছে। তদন্তে বড়-ছোট সমস্ত রকমের সম্ভাবনার দিকও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ সূত্রের খবর, ওই দুষ্কৃতীরা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের আশপাশে ঘুরছিল। স্থানীয় লোকজনকে জিজ্ঞাসা করে প্রথমে মন্দিরের কাছের হোটেলে গেলেও সেখানে ঘর মেলেনি। তার পরে কয়েকশো মিটার দূরের একটি অতিথি নিবাসে ঘর ভাড়া নেয় দুই দুষ্কৃতী। গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়ে দক্ষিণেশ্বর থানার পুলিশ ওই হোটেলে হানা দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দু’জনকে ধরে ফেলে।

সূত্রের খবর, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই দুষ্কৃতীরা দাবি করেছে, তারা সুবোধের দলে যুক্ত। ব্যারাকপুরের একটি দোকানে হামলা চালাতে এসেছিল। যদিও পুলিশকর্তারা এই দাবি মানতে নারাজ। কারণ, সুবোধের কোনও ‘অপারেশন’ যে দুষ্কৃতীরা বাস্তবায়িত করত, তাদের সঙ্গে সুবোধের কোনও যোগাযোগ থাকত না। তদন্তকারীদের প্রশ্ন, সুবোধ বেলঘরিয়া পুলিশের হেফাজতে ছিল, তার মধ্যে সে কী ভাবে কোনও ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা করতে পারে? অর্থাৎ, অন্য কেউ পরিকল্পনা করে ইচ্ছাকৃত ভাবে সুবোধের নাম জড়াচ্ছে কিনা, তা-ও দেখছেন তদন্তকারীরা।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

arrest Weapons Bihar

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy