Advertisement
E-Paper

এমু পাখি নিয়ে নাজেহাল

মানিকতলা থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে পাখি দু’টি নিয়ে ট্রেনে ওঠার সময়ে দু’জনকে আটকায় বিধাননগর জিআরপি। সেখান থেকে পাখি নিয়ে ওই দু’জন পালিয়ে স্টেশন সংলগ্ন একটি বস্তিতে ঢোকেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:২৮
উদ্ধার: এই এমু পাখি দু’টিকে ঘিরেই হুলস্থূল বাধে মানিকতলায় (বাঁ দিকে)। অবশেষে তাদের এ ভাবেই ট্যাক্সিতে চাপিয়ে গন্তব্যে পাঠায় পুলিশ (ডান দিকে)। নিজস্ব চিত্র

উদ্ধার: এই এমু পাখি দু’টিকে ঘিরেই হুলস্থূল বাধে মানিকতলায় (বাঁ দিকে)। অবশেষে তাদের এ ভাবেই ট্যাক্সিতে চাপিয়ে গন্তব্যে পাঠায় পুলিশ (ডান দিকে)। নিজস্ব চিত্র

এক জোড়া পাখি নিয়েই মঙ্গলবার সকাল থেকে হুলস্থুল চলল মানিকতলায়। পাচারকারী সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে আটকে রেখে হেনস্থারও অভিযোগ উঠল। পুলিশ গিয়ে পাখি-সহ ওই দুই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। শেষে বন দফতরের আধিকারিকেরা থানায় গিয়ে জানান, ওগুলি এমু পাখির বাচ্চা। ওই পাখি রাখা কোনও আইন বিরুদ্ধ কাজ নয়। শেষে পুলিশই ট্যাক্সি ডাকিয়ে পাখি দু’টিকে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। তার আগে অবশ্য থানার ক্যান্টিন থেকেই পাখির জল-খাবারের ব্যবস্থা হয়েছে বলে খবর।

মানিকতলা থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে পাখি দু’টি নিয়ে ট্রেনে ওঠার সময়ে দু’জনকে আটকায় বিধাননগর জিআরপি। সেখান থেকে পাখি নিয়ে ওই দু’জন পালিয়ে স্টেশন সংলগ্ন একটি বস্তিতে ঢোকেন। সেখানেও এত বড় পাখি দেখে তাঁদের আটক করেন স্থানীয়েরা। একটি ক্লাবে আটকে রেখে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। খবর যায় মানিকতলা থানায়। পুলিশ গিয়ে এর পরে পাখি এবং ওই দু’জনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ওই দু’জনের কাছে জানতে চাওয়া হয়, সেগুলি কী পাখি? কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে?

এর মধ্যেই খবর পেয়ে থানায় যান বন দফতরের আধিকারিকেরা। তাঁরা পুলিশকে জানান, সেগুলি এমু পাখির বাচ্চা। ওই পাখি রাখা বেআইনি নয়। অনুমোদন থাকলে ওই পাখি রাখা যায়। সম্ভবত বড় আকার দেখে সকলের সন্দেহ হয়েছে। থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক বলেন, ‘‘ওই পাখির মাংস খায় লোকে। ডিমও বিক্রি হয় বললেন বন দফতরের আধিকারিকেরা। যাঁদের এনেছিলাম, তাঁদের কাছে লাইসেন্স ছিল। আমরাই ট্যাক্সি ডাকিয়ে ওঁদের যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। বিস্কুট খেতে চাইছিল না, তাই তার আগে পাখি দু’টিকে একটু ভাত দেওয়া হয়েছে।’’

ট্যাক্সিতে ওঠার সময়ে পাখি নিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের এক জন বললেন, ‘‘নিজেদের নাম বলে আর ঝামেলায় পড়তে চাই না। যত বলি, এই পাখি বেআইনি নয়, কেউ শোনে না। পুলিশও এত ক্ষণ আটকে রাখল!’’

Police Emu Bird Forest Department
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy