E-Paper

গবেষণায় কেন্দ্রের পুঁজির খোঁজ আশুতোষের

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ স্তরের এক কর্তা জানান, কেউ ইউনিয়ন রুমটি খুললেও সেটি ফের বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, দীর্ঘ দিন ছাত্র সংসদ ভোটবন্ধ রাজ্যের শিক্ষাঙ্গনগুলিতে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ০৭:১৬
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন স্থায়ী উপাচার্য আশুতোষ ঘোষ। বৃহস্পতিবার।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন স্থায়ী উপাচার্য আশুতোষ ঘোষ। বৃহস্পতিবার। —নিজস্ব চিত্র।

সাড়ে তিন বছর বাদে স্থায়ী উপাচার্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্বভার নেওয়ার দিনেই শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের তরফে কিছু দৌরাত্ম্যের চেষ্টার অভিযোগ উঠল।বৃহস্পতিবার বিকেলে কলেজ স্ট্রিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুতোষ ভবনের দোতলায় তালাবন্ধ ছাত্র সংসদের ঘরে জোর করে ঢোকার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। এর পিছনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) হাত থাকার অভিযোগ উঠেছে। তবে, নবনিযুক্ত উপাচার্য আশুতোষ ঘোষ কড়া বার্তা পাঠান, কোনও ভাবেই ইউনিয়ন রুমে ঢোকা যাবে না।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ স্তরের এক কর্তা জানান, কেউ ইউনিয়ন রুমটি খুললেও সেটি ফের বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, দীর্ঘ দিন ছাত্র সংসদ ভোটবন্ধ রাজ্যের শিক্ষাঙ্গনগুলিতে। কিন্তু, ইউনিয়ন রুমগুলি কার্যত শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের দৌরাত্ম্যের আখড়া হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ।কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বতন অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ইউনিয়ন রুমে তালা ঝোলাতে উদ্যোগী হন।কসবার আইন কলেজে ইউনিয়ন রুম লাগোয়া ঘরে ধর্ষণের ঘটনার পরে কলকাতা হাই কোর্টও ইউনিয়ন রুমগুলি বন্ধ করতে বলে।এরই মধ্যে নতুন উপাচার্য যোগ দিতেই ইউনিয়ন রুম খোলার চেষ্টার অভিযোগ উঠল।

টিএমসিপি-র রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অভিরূপ চক্রবর্তী অবশ্য ইউনিয়ন রুম খোলার পিছনে তাঁদের ভূমিকার কথা অস্বীকার করেছেন। অভিরূপ এর আগে শান্তাকে কটূক্তিকরেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময়ে তাঁর আচরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদার পক্ষে হানিকর সাব্যস্ত করে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অভিরূপকে পাঁচ বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়। শান্তার বিদায়ের পরেই তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এ দিনঅভিরূপকে কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে দেখা গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আমি কোনও শাস্তির চিঠি পাইনি। তাই এসেছি।’’ এআইডিএসও-র কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটও ইউনিয়ন রুম খোলার ঘটনাটির নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।

প্রথম দিন দায়িত্ব নিয়ে রসায়নের অধ্যাপক আশুতোষ হৃত গৌরব ফেরাতে বিশ্ববিদ্যালয়েরআর্থিক সঙ্গতি বৃদ্ধির দিকে মনোযোগী হওয়ার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘৫০ শতাংশের বেশি শিক্ষক পদ শূন্য। তা ঠিক করার পাশাপাশি, গবেষণার পুঁজি জোগাড় করতে হবে। রাজ্য সরকারের কাছে পরিকাঠামোর জন্য সাহায্য চাইব। হস্টেলগুলিতে সমস্যা রয়েছে। গবেষণা খাতে কেন্দ্রীয় সরকার বা অন্য উৎস থেকে পুঁজি আনতে হবে।’’ বিশ্ববিদ্যালয়েআধিকারিকের অভাব রয়েছে। সহ-উপাচার্য এবং প্রধানত স্থায়ী ডিন নিয়োগে জোর দিচ্ছেন উপাচার্য। ২০১৭ সালের পরে ‘ন্যাক’-এর স্বীকৃতি নেইকলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের। এই বিষয়টিও উপাচার্য গুরুত্ব দিচ্ছেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি সনাতন চট্টোপাধ্যায় এবং অন্য প্রতিনিধিরা এ দিন আশুতোষের সঙ্গেদেখা করেন। সনাতন বলেন, ‘‘গবেষণায় কলকাতার পিছিয়ে পড়া নিয়ে আমরাও উদ্বিগ্ন। নতুন বিধি মেনে পিএইচ ডি-তে অন্তর্ভুক্তির বিষয় বা নতুন শিক্ষানীতি অনুযায়ী স্নাতকোত্তরে ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়েও কথা বলেছি।’’

যাদবপুরের উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য আজ, শুক্রবার উচ্চ মাধ্যমিকের সিমেস্টারের ফল প্রকাশের পরে বা সোমবার নতুন দায়িত্ব নেবেন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Fund Union Room

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy