Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Influenza

ধুম জ্বর, কিন্তু কোভিড নয়, কলকাতা আর শহরতলিতে ছড়াচ্ছে নতুন সংক্রমণ

তীব্র এই জ্বর থাকছে তিন থেকে চার দিন। সঙ্গে সর্দি এবং হাঁচি। ভাইরাল ইনফ্লুয়েঞ্জার কবল থেকে বাদ পড়ছে না শিশুরাও।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২১ ২১:০৫
Share: Save:

রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা স্বস্তি দিলেও চিকিৎসকদের চিন্তা বাড়াচ্ছে ভাইরাল ইনফ্লুয়েঞ্জা। শহরের একাধিক হাসপাতালে জ্বর, গায়ে-হাতে ব্যাথা নিয়ে রোগীরা আসছেন তবে পরীক্ষা করলে করোনা ধরা পরছে না। বাড়ছে ভাইরাল ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্তের সংখ্যা।

তীব্র এই জ্বর থাকছে তিন থেকে চার দিন। সঙ্গে সর্দি এবং হাঁচি। ভাইরাল ইনফ্লুয়েঞ্জার কবল থেকে বাদ পড়ছে না শিশুরাও। জ্বরের সঙ্গে সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে শিশুদের মধ্যে। জ্বর সেরে যাওয়ার পরও শুকনো কাশি, দুর্বলতা ভোগাচ্ছে অনেককেই। অন্যান্য ইনফ্লুয়েঞ্জার মতই এ ক্ষেত্রেও একসঙ্গে বাড়ির একাধিক সদস্য জ্বরে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই জ্বর না কমা পর্যন্ত নিজেকে আলাদা করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

ফুসফুসের রোগীর ক্ষেত্রে ভাইরাল ইনফ্লুয়েঞ্জা জটিল আকার নিতে পারে। এইসব রোগীর প্রাথমিক উপসর্গ বা সিটি স্ক্যান দেখে করোনার মত মনে হলেও পরে দেখা যাচ্ছে তা আসলে ভাইরাল ইনফ্লুয়েঞ্জা। তাই এই মরসুমে শুধু সিটি স্ক্যান রিপোর্ট দেখে করোনা চিকিৎসা শুরু না করার পরামর্শ চিকিৎসক দেবরাজ যশের। তিনি আরও বলেন, ‘‘গত কয়েক দিন ধরেই জ্বরের উপসর্গ নিয়ে রোগীরা আসছেন। তার বেশির ভাগই ভাইরাল ইনফ্লুয়েঞ্জা। কয়েক জনের পরীক্ষা করে এইচ থ্রি এন টু ধরা পড়েছে।’’ শিশু চিকিৎসক সুমিতা সাহা বলেন, ‘‘হাসপাতালের আউটডোরে আসা ৪০ শতাংশ বাচ্চাই জ্বর নিয়ে আসছে। কোনও কোনও শিশুর ১০৪ জ্বর উঠে যাচ্ছে। সারা রাতেও জ্বর কমছে না।’’

উপসর্গ

১০২-১০৩ জ্বর

সর্দি সঙ্গে হাঁচি-কাশি

গায়ে হাতে প্রচণ্ড ব্যথা

গলায় ব্যাথা

শরীরে চুলকানি

কো-মর্বিডিটি থাকলে শ্বাসকষ্টও হতে পারে

চিকিৎসা

বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জ্বরের ওষুধেই কাজ হয়

জল বেশি খাওয়া

নিজে থেকে কোনও ওষুধ বা অ্যান্টিবায়োটিক না খাওয়া

গলায় ব্যথার জন্য গার্গল

হৃদরোগ এবং ফুসফুসের রোগ থাকলে সমস্যা বাড়তে পারে

ভাইরাল ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের চিকিৎসক সায়ন্তন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই সময় ভাইরাল ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ে অনেক রোগীই আসছেন। ইনফ্লুয়েঞ্জারও মহামারি ঘটানোর ক্ষমতা আছে। তাই আরও পরীক্ষার ব্যবস্থা করা উচিত।’’ যদিও স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তার মতে, ‘‘ভাইরাল ইনফ্লুয়েঞ্জার উপর আমরা নজর রাখছি। কোনও কোনও বছর বর্ষার মরসুমে ভাইরাল ইনফ্লুয়েঞ্জা বাড়ে, তবে এখনই আশঙ্কার কোনও কারণ নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE