দশমীতে বিসর্জনের শোভাযাত্রা চলাকালীন হাইট বারে ধাক্কা লেগে আলিপুর চিড়িয়াখানার সামনে মৃত্যু হয়েছিল এক যুবকের। কালীপুজোয় এমন ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সে জন্য উদ্যোক্তাদের সতর্ক করলেন কলকাতার নগরপাল মনোজ বর্মা। পাশাপাশি, ফানুসের আগুন এবং বাজি নিয়ে সতর্ক থাকারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বুধবার আলিপুরে ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে কলকাতার কালীপুজোর উদ্যোক্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন নগরপাল। সেই বৈঠকে একাধিক বার দশমীর রাতে আলিপুর চিড়িয়াখানার সামনে দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ উঠে আসে। ওই ঘটনায় প্রতিমা নিয়ে ট্রলারের উপরে বসে বাবুঘাটের দিকে বিসর্জন দিতে যাচ্ছিলেন উৎসব চট্টোপাধ্যায় নামে এক যুবক। চিড়িয়াখানার সামনের রাস্তায় হাইট বারে ধাক্কা লেগে রাস্তায় পড়ে যান বছর বত্রিশের উৎসব। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনা থেকে ‘শিক্ষা’ নিয়ে কালীপুজোয় যাতে কোনও ভাবে আর এমন ঘটনা না ঘটে, তার জন্য মণ্ডপে প্রতিমা আনা এবং বিসর্জনের সময়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন নগরপাল। প্রতিমা ট্রলারে তুলে অতিরিক্ত গতিতে যাতে চালক না চালান, সে দিকেও উদ্যোক্তাদের নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি, ফানুস এবং বাজির বিপদ নিয়েও সতর্ক হতে বলেছেন কলকাতা পুলিশের ওই শীর্ষ কর্তা। ফানুসের আগুন অন্যত্র উড়ে গিয়ে যাতে আগুন না লাগায়, তা নিয়েও সতর্ক থাকতে বলেছেন। এ দিন ডিজে-র শব্দতাণ্ডব নিয়ে উদ্যোক্তাদের সতর্ক করেছেন বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্তারা।
কালীপুজোর এ দিনের বৈঠকে এসেছে সরকারি অনুদান প্রসঙ্গও। দুর্গাপুজোর মতো একাধিক কমিটি সরকারি অনুদানের পাশাপাশি, বিদ্যুতের বিলে ছাড়ের আবেদন করেন। উত্তর কলকাতার ফাটাকেষ্টর পুজো বলে পরিচিত পুজোটির অন্যতম উদ্যোক্তা অচিন্ত্য লাহা বলেন, ‘‘সরকারি অনুদান পেলে তো উৎসবের উদ্যোক্তাদেরঅনেকটা সুবিধা হয়। শারদোৎসবে পেলে আমরা পাব না কেন? আমরা একাধিক পুজো কমিটি সেইআবেদন করেছি। আমরাও সমর্থন করেছি।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)