বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ রাজ্যপালের কনভয় গিয়ে থামে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। ফাইল চিত্র।
ঝাঁ ঝাঁ রোদে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে গেলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। সোমবারই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘হঠাৎ পরিদর্শনে’ গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তা নিয়ে ইতিমধ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে। রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসাবে তাঁর এই ‘হঠাৎ সক্রিয়তা’ কেন, তার কারণ খুঁজতে শুরু হয়েছে আলোচনাও। এর মধ্যেই বুধবার বারাসত বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন আচার্য আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবার তিনি পৌঁছে গেলেন প্রেসিডেন্সিতেও।
বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ রাজ্যপালের কনভয় গিয়ে থামে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। গরম হলেও বোসের পরনে ছিল চিরাচরিত বন্ধগলা। চোখে সানগ্লাস। বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে প্রথমেই বেকার বিল্ডিংয়ে যান রাজ্যপাল, সেখানে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন। শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, আলোচনায় অনুপ্রেরণাদায়ী একটি ভাষণ দিয়েছেন রাজ্যপাল। একই সঙ্গে জানতে চেয়েছেন বিজ্ঞান সংক্রান্ত বিষয়য়ে। পরে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গেও দেখা করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন আচার্য আনন্দ বোস। তবে এই সবই আরও এক বার উস্কে দিয়েছে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রধান হিসাবে তাঁর অতিসক্রিয়তার জল্পনাকে।
বৃহস্পতিবার সকালে শহরে তাপপ্রবাহ হতে পারে বলে সতর্ক করেছিল আবহাওয়া দফতর। কাঠফাটা রোদে প্রয়োজন ছাড়া না বেরোনোর পরামর্শও দেওয়া হয় কলকাতাবাসীকে। রাজ্যপাল বোস অবশ্য সেই সতর্কতা উপেক্ষা করেই দুপুরবেলায় পৌঁছে যান প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
উল্লেখ্য, সোমবার দিল্লি থেকে কলকাতা ফিরে রাজভবনে না ঢুকে সোজা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। পরে রাজভবনে ফিরে দুপুর ৩টে নাগাদ আবার সেখানে যান তিনি। একই দিনে দু’বার পরিদর্শনে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ-সহ অনেককেই চমকে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। বিশেষ করে দিন কয়েক আগেই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে পাঠানো তাঁর আর্থিক লেনদেন বিষয়ক নির্দেশিকার সঙ্গে এই পরিদর্শনের ঘটনাটিকে জুড়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল, তবে কি রাজ্যপাল বোঝাতে চাইছেন, বাকিদের মতো তিনি স্রেফ রাজভবনে বসে থেকে নিজের দায়িত্ব পালন করবেন না? এই জল্পনার মধ্যেই খাঁ খাঁ রোদে প্রেসিডেন্সিতে চমক পরিদর্শনে পৌঁছে গেলেন রাজ্যপাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy