Advertisement
২৯ মার্চ ২০২৩
West Bengal Lockdown

রমজানের সময়ে বিধি মানায় জোর পুলিশের

লালবাজার জানিয়েছে, লকডাউনের জন্য শহরের বিভিন্ন এলাকাকে ঘিরে রাখা হয়েছে। সে সব জায়গায় যাতায়াতেও কড়াকড়ি করা হয়েছে।

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

শিবাজী দে সরকার
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২০ ০৩:০০
Share: Save:

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে শহরের বিভিন্ন এলাকাকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করার পরে ব্যারিকেড দিয়ে তা পৃথক করে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। আবার লকডাউনের মধ্যেই শনিবার থেকে শুরু হয়েছে রমজান মাস। এই সময়ে শহরে বসবাসকারী মুসলিম সমাজের মানুষদের নিজেদের এলাকায় যাতে ফল বা খাবার কিনতে অসুবিধে না হয়, তা দেখার জন্য বাহিনীকে নির্দেশ দিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। শুক্রবার রাতে কলকাতা পুলিশ এলাকার প্রতিটি থানার আধিকারিকদের কাছে পাঠানো বার্তায় কমিশনার বলেছেন, ‘‘এই সময়ে খাবার কিনতে বাজারে যাবেন সাধারণ মানুষ। তাই বাজারগুলিতে পর্যাপ্ত সামাজিক দূরত্ব যাতে বজায় থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে সকলে যাতে মাস্ক পরে বাজারে যান তা-ও দেখতে হবে।’’

Advertisement

লালবাজার জানিয়েছে, লকডাউনের জন্য শহরের বিভিন্ন এলাকাকে ঘিরে রাখা হয়েছে। সে সব জায়গায় যাতায়াতেও কড়াকড়ি করা হয়েছে। সেই সব এলাকায় বসবাসকারী মুসলিমদের রমজানের সময়ে ফল বা খাবার কিনতে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তা দেখার জন্য বলা হয়েছে থানাগুলিকে। এক পুলিশকর্তা জানান, বাজারে খাবার আনতে গেলেও মানুষ-জন যাতে অপ্রয়োজনীয় জমায়েত না করেন, সেই বিষয়টিও দেখার জন্য কমিশনার থানার ওসিদের বলেছেন। এ জন্য সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করে জনসংযোগ বৃদ্ধি করতে কমিশনার নির্দেশ দিয়েছেন বলে ওই পুলিশকর্তা জানান।

কলকাতায় করোনাভাইরাসের দাপট ঠেকানোই এখন চ্যালেঞ্জ পুলিশ প্রশাসনের কাছে। উৎসবের মরসুমেও স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে লকডাউন বিধি যাতে অমান্য না হয়, সে দিকেও পুলিশকে খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে। তাই জমায়েত বা ভিড় এড়ানোর জন্য সাধারণ মানুষের প্রতি নরমে-গরমে ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে লালবাজারের তরফে। শহরের বিভিন্ন সংখ্যালঘু এলাকার বাসিন্দাদের রমজানের সময়ে বাড়িতে থেকে প্রার্থনা করার আবেদন জানিয়েছেন মুসলিম ধর্মগুরুরাও।

তবে শহরের বাকি জায়গায় লকডাউনের সময়ে কড়া ব্যবস্থা যাতে চালু থাকে, তার জন্য বলা হয়েছে কলকাতা পুলিশের তরফে। ইতিমধ্যেই যে সব বাজারে ভিড় বেশি হচ্ছে, সেগুলির একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেগুলিতে কী বিকল্প ব্যবস্থা করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। মেছুয়া ফলের বাজারের ভিড়ের উপরে নজর রাখতে সেখানে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। পুলিশকর্মীরা ওই ক্যামেরায় নজর রেখে ক্রেতাকে বাধ্য করছেন সামাজিক দূরত্ব-বিধি মেনে চলতে। একই সঙ্গে পোস্তার মতো পাইকারি বাজারে নজরদারির জন্য বানানো হয়েছে ওয়াচ টাওয়ারও।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.