প্রতীকী ছবি।
করোনার বিভিন্ন প্রতিষেধকের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে নাম রয়েছে রাজ্যের। এ বার সেই তালিকায় যুক্ত হল ফুসফুসের ক্যানসারের ওষুধের চতুর্থ পর্যায়ের ট্রায়ালও। ফাইজ়ার সংস্থার তৈরি ‘ড্যাকোমিটিনিব ৪৫ মিলিগ্রাম’ ট্যাবলেটের ট্রায়াল চলছে শহরেরই দুই বেসরকারি ক্যানসার হাসপাতালে।
সূত্রের খবর, দেশে ১৪টি ক্লিনিক্যাল সাইটে মোট ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপরে ওই ওষুধটি প্রয়োগ করা হবে। ২০২৩ সাল পর্যন্ত চলবে এই পরীক্ষামূলক গবেষণা। এ রাজ্যের নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ক্যানসার হাসপাতাল এবং টাটা মেডিক্যাল সেন্টারে ওই ওষুধের চতুর্থ পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। জানা গিয়েছে, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ক্যানসার হাসপাতালে এখনও পর্যন্ত চার জন ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত রোগী ওই গবেষণায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অংশ নিয়েছেন। সেখানে এই পরীক্ষামূলক গবেষণার প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর হিসেবে আছেন চিকিৎসক তন্ময় মণ্ডল।
টাটা মেডিক্যাল সেন্টারের সঙ্গে ফাইজ়ার সরাসরি যোগাযোগ করে গবেষণাটি করাচ্ছে। তবে ওষুধ প্রস্তুতকারী ওই সংস্থা ও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ক্যানসার হাসপাতালের মধ্যে সমন্বয়কারী সংস্থার ব্যবসায়িক প্রধান ও ফেসিলিটেটর স্নেহেন্দু কোনার বলেন, “ইউরোপে এই ওষুধটির তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে ভাল ফল মিলেছে। সাধারণত হাসপাতালের বহির্বিভাগে দেখাতে আসা রোগীদের মধ্যে যাঁরা আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে এবং অবশ্যই পরীক্ষামূলক গবেষণায় স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার যোগ্যতা বিচারের মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ হবেন, তাঁদেরই নেওয়া হবে।’’
গবেষকেরা জানাচ্ছেন, ড্যাকোমিটিনিব ট্যাবলেট দিনে একটি করে খেতে হবে রোগীকে। ৮৪ দিন অন্তর তাঁর বুক, পেট ও পেলভিসের সিটি স্ক্যান, এমআরআই ও মস্তিস্কের এমআরআই করা হবে। তবে সমস্ত চিকিৎসার খরচ বহন করবে ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা। স্নেহেন্দুবাবু জানাচ্ছেন, ওষুধটির সুরক্ষা ও সহনশীলতা নির্ধারণ করাই হল এই পরীক্ষামূলক গবেষণার প্রাথমিক উদ্দেশ্য। সেটির কার্যকারিতা কত দিন থাকছে, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হল দ্বিতীয় উদ্দেশ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy