‘ছাড়’ পায় সকলেই। না চাইতেও ছাড় মেলে আকছার। নাগরিক জীবনযাত্রা থেকে পরিবেশের নানা ক্ষতি হলেও ‘উদারতা’য় খামতি নেই প্রশাসনের।
শহরের পরম্পরার দোহাই! তাই অতিথিজ্ঞানে নানা জনের জন্য সব সময়েই কোল পেতে রাখে এ শহরের রাজপথ। গঙ্গাসাগরের পুণ্যার্থী থেকে শাসক দলের নেতা-কর্মী, উটকো বারোয়ারি পুজো থেকে ধর্মীয় নামগানের উদ্যোক্তা— সকলের জন্য এটাই নিয়ম। সেই নিয়মের নড়চড় ঘটছে পার্ক সার্কাসে। ন’দিন, ন’রাত কেটে গিয়েছে। শহরের একটি পার্কে নাগাড়ে চলতে থাকা প্রতিবাদী অবস্থান গোটা দেশের নজর কাড়লেও হাড় কাঁপানো শীতে অবস্থানকারীদের জন্য একটু সুষ্ঠু ব্যবস্থা করে দেওয়ার ন্যূনতম উদ্যোগটুকুও এখনও দেখা যায়নি।
প্রতিবাদের জেদ দেখে ‘সাবাশ’ বলছে গোটা দেশ। রোজই ভিড় বাড়ছে পার্ক সার্কাসের মাঠে। নাগাড়ে নজর রাখছে পুলিশও। শুধু কি রাজ্য সরকারেরই চোখে পড়ছে না এত বড় প্রতিবাদী সমাবেশ? বুধবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেছেন এই অবস্থান সমাবেশের অন্যতম আহ্বায়ক আসমত জামিল ও আরও কয়েক জন। ঠান্ডায় যাতে একটু স্বস্তি মেলে, তার জন্য প্রতিবাদীদের অনুরোধ, মাথার উপরে সামান্য একটু তাঁবুর ব্যবস্থা হোক। কিন্তু অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত কেউ ফিরেও তাকাননি প্রতিবাদীদের দিকে। উল্টে কলকাতার পুরকর্তাদের তরফে এখনও গোটা অবস্থান সমাবেশটাই ‘বেআইনি’ বলে দেগে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।