Advertisement
E-Paper

শ্রমিককে খুনে ধৃত ছেলে ও স্ত্রী-সহ তিন

তদন্তকারীদের অনুমান, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই এই খুন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:৫৪
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

দত্তপুকুর থানার বেরো নারায়ণপুরে ইটভাটার নর্দমা থেকে মঙ্গলবার উদ্ধার হয়েছিল দেবানন্দ মণ্ডল (৪৪) নামে এক ব্যক্তির দেহ। তাঁর গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। তদন্তে নেমে পুলিশ জানাল, ওই ব্যক্তিকে খুনই করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে দেবানন্দের স্ত্রী বৃহস্পতি মণ্ডল, ছেলে সৌমেন মণ্ডল এবং গৌতম দে নামে এক যুবককে। জেরায় তারা দোষ স্বীকার করেছে বলে পুলিশের দাবি। বুধবার বারাসত আদালতে ধৃতদের পুলিশি হেফাজত হয়। তদন্তকারীদের অনুমান, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই এই খুন।

পুলিশ সূত্রের খবর, আপাত ভাবে তাদের হাতে কোনও সূত্র ছিল না। পরে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, দেবানন্দের বাড়িতে যাতায়াত করত গৌতম। বারাসত-ব্যারাকপুর রোডে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করত ওই যুবক।

রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করার আগে সেখানে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন দেবানন্দও। সেই সূত্রেই দু’জনের পরিচয়। পুলিশ জানায়, দেবানন্দের বাড়িতে যাতায়াতের সূত্রে তাঁর স্ত্রী বৃহস্পতির সঙ্গে গৌতমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বৃহস্পতিকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল সে। তাতে সায় ছিল দেবানন্দের ছেলে সৌমেনেরও।

জানা গিয়েছে, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় দেবানন্দ প্রায়ই স্ত্রীকে মারধর করতেন। তার পরেই তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করে তিন জন। পুলিশের দাবি, গৌতম জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সে দেবানন্দকে নিয়ে একটি মাঠে যায়। সেখানে দু’জনে মদ্যপান করে। সন্ধ্যায় ইটভাটার কাছে প্রথমে শ্বাসরোধ করে, পরে ভাঙা মদের বোতল দিয়ে দেবানন্দকে খুন করে সে। বারাসতের পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তিন জনই ঘটনায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে যুক্ত। জেরায় তারা অপরাধ স্বীকার করেছে।’’

Duttapukur Murder
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy