নিখুঁত যান্ত্রিক অস্ত্রোপচারের সাহায্যে হার্নিয়া থেকে মুক্তি। পূর্ব ভারতে এই প্রথম বার হার্নিয়া সার্জারিতে ব্যবহৃত হল মোটরাইজ়ড ট্যাকার। সৌজন্যে, শহরেরই উডল্যান্ডস মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল।
গত ২০ এপ্রিল ‘মোটরাইজড ফিক্সেশন ডিভাইস’ (ম্যাক্সট্যাক)-এর সাহায্যে নিরাপদ, সূক্ষ্ম অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৪৩ বছরের এক রোগীর নাভীমূলের হার্নিয়া উপশম করেছেন উডল্যান্ডস হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ শল্যচিকিৎসকেরা। ল্যাপারোস্কোপিক এবং জেনারেল সার্জারির বিভাগের চিকিৎসক দলটির নেতৃত্বে ছিলেন ডাক্তার সুমন্ত্র রায়।
সাধারণ ভাবে প্রচলিত পদ্ধতিতে পেটের কয়েক ইঞ্চি কেটে হার্নিয়া সার্জারি করা হয়। প্রচুর রক্তপাত হয় বলে সংক্রমণজনিত জটিলতার ঝুঁকি থাকে। পাশাপাশি, রোগীর সেরে উঠতে অনেক সময়ও লাগে। কিন্তু মোটরাইজ়়ড ট্যাকারের ‘পুশ-বাটন্ ফায়ারিং’ পদ্ধতি সুক্ষ্ম ছিদ্রের সাহায্যে জালিকা প্রতিস্থাপনের কাজ করে। ফলে টিস্যুর ক্ষতি কম হয়। রক্তপাত ও সংক্রমণজনিত ঝুঁকিও কমে যায়।
প্রসঙ্গত, পেশির দুর্বলতা বা অন্য কারণে অন্ত্রের কোনও অংশ স্থানচ্যুত হয়ে গেলে তাঁকে আমরা ‘হার্নিয়া’ বলি। কুঁচকিতে অথবা নাভির কাছে কিংবা পেটের কোনও অংশে হার্নিয়া হতে পারে। হাঁচলে, কাশলে বা চিৎকার করলে ফোলা অংশ দেখা দেয়। তা স্বাভাবিক অবস্থাতেও থাকে না। এই সমস্যার একমাত্র চিকিৎসা সার্জারির সাহায্য নেওয়া। পেশির আলগা হয়ে যাওয়া অংশে সূক্ষ্ম তারের জালি বা মেস লাগিয়ে দেওয়া হয়। নিয়মিত ভারী জিনিস তুললে, জোরে চাপ দিয়ে মল-মূত্র ত্যাগ করলে, সার্জারির পর, সন্তানধারণের সময়, স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ওজন, ক্রনিক কাশি ইত্যাদি কারণেও হার্নিয়া হতে পারে।