প্রতীকী ছবি।
একাকী ভ্রমণে বেরিয়ে পড়তে মন চায় অনেক মহিলারই। কিন্তু নিজেদের শারীরিক সক্ষমতা, নিরাপত্তা, রাস্তাঘাটে বিপদ হলে একা সামলানোর মতো ক্ষমতা তাঁদের আদৌ রয়েছে কি না, তা নিয়ে ধন্দে থাকেন অনেকেই। সেই আশঙ্কাকে মুছে ফেলে মহিলাদের আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে চলতি মাসের শেষের দিকে দু’দিনের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এ শহরে।
নিজের ভ্রমণ সংস্থার মাধ্যমে শুধুমাত্র মহিলাদের নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বেড়ানোর ব্যবস্থা করেছেন স্বাতী রায়। দু’দিনের এই কর্মশালার আয়োজকও তিনি। জানাচ্ছেন, দল বেঁধে দেশ ভ্রমণের সময়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকত যে, ‘একা’ মেয়ের পক্ষে এ ভাবে অচেনা জায়গায় ঘুরে বেড়ানো সম্ভব কি না। অনেক সময়েই বেড়াতে যাওয়া মহিলাদের স্বামীরাও তাঁদের স্ত্রীর নিরাপত্তার দিকটি নিয়ে চিন্তিত থাকতেন। বিষয়টি ভাবিয়েছিল স্বাতীকেও। তাই মহিলাদের আরও আত্মবিশ্বাসী করে তোলার জন্যই নিজের ভ্রমণ সংস্থা এবং বেঙ্গালুরুর একটি ফিটনেস সংস্থার সঙ্গে জোট বেঁধে আয়োজন করেছেন এই কর্মশালার। যার পোশাকি নাম ‘আমি চিত্রাঙ্গদা’।
কী হবে ওই কর্মশালায়? আয়োজকেরা জানাচ্ছেন, চলার পথে একা মেয়েদের জন্য কী রকম বিপদ আসতে পারে, কী ভাবে তাকে প্রতিহত করা যায়— এ সবেরই তালিম দেওয়া হবে অংশগ্রহণকারী মহিলাদের। ১০ থেকে ৬৫ বছরের যে কোনও মেয়েই অংশ নিতে পারবেন এই কর্মশালায়। গার্হস্থ্য হিংসা নিয়ে মহিলাদের সচেতন করাও এই উদ্যোগের অন্যতম লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন স্বাতী।
এই কর্মশালা প্রসঙ্গে রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া— ‘‘এই ধরনের কর্মশালা আরও হওয়া প্রয়োজন। মহিলাদের পাশাপাশি, শিশুকন্যাদেরও ওই তালিম নিয়মিত দেওয়া প্রয়োজন।’’ তাঁর মতে, নাচ-গানের পাশাপাশি ছোটদের আত্মরক্ষার তালিমের স্কুলেও পাঠানো দরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy