Advertisement
E-Paper

সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি প্রকাশ করে ধৃত কলকাতার যুবক

দীপ্তেন আদতে সিনেমায় সুযোগ দেওয়ার নাম করে যুবতীদের নিয়োগ করে তাঁদের পাঠাতেন সমাজের উচ্চস্তরে প্রভাবশালীদের কাছে। আরও অভিযোগ, তিনি নিজের স্ত্রীকেও সেই কাজে নামাতে চান।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৯ ০১:০৩
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে দীপ্তেন দাস নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের সাইবার শাখা। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ব্যক্তির সঙ্গী, রূপা দাস নামে এক মহিলাকেও। মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করার পরে বুধবার দু’জনকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের ১৪ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

পুলিশ সূত্রের খবর, সিনেমায় অভিনয় করার বিজ্ঞাপন দেখে ২০১৫ সালে দীপ্তেনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন উত্তর কলকাতার এক যুবতী। ইন্টারভিউ হওয়ার পরে তাঁকে নিজের সংস্থায় এগ্জিকিউটিভ প্রোডিউসার হিসেবে যোগ দিতে বলেন দীপ্তেন। এর পরে ওই যুবতীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে দীপ্তেনের। তাঁকে বিয়ে করেন তিনি। যুবতীর আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী আদালতে জানান, বিয়ের দিন ম্যারেজ রেজিস্ট্রার এলেও এবং ফর্মে সবাই সই করলেও তা পরে জমা দেওয়া হয়নি।

অভিযোগ, দীপ্তেন আদতে সিনেমায় সুযোগ দেওয়ার নাম করে যুবতীদের নিয়োগ করে তাঁদের পাঠাতেন সমাজের উচ্চস্তরে প্রভাবশালীদের কাছে। আরও অভিযোগ, তিনি নিজের স্ত্রীকেও সেই কাজে নামাতে চান। কিন্তু, যুবতী আপত্তি করায় তাঁর উপরে শুরু হয় অত্যাচার। তখন ওই মহিলা দীপ্তেনের বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। পরে দীপ্তেন তাঁর নামে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেন। অয়নের কথায়, ‘‘বিয়ের রেজিস্ট্রিই যদি না হবে, তা হলে কেন ডিভোর্স মামলা করা হল?’’ ওই যুবতীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলাকালীনই রূপার সঙ্গে দীপ্তেনের ঘনিষ্ঠতা হয় বলে অভিযোগ।

অভিযোগে অয়ন আরও জানিয়েছেন, বিয়ের আগে এবং অনতিবিলম্ব পরে স্ত্রীর বেশ কিছু ব্যক্তিগত ছবি তুলে রেখেছিলেন দীপ্তেন। সম্প্রতি সেই সব ছবি তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিতে শুরু করেন। এর পরেই সাইবার শাখায় মামলা করেন মহিলা। অয়নের বক্তব্য, ‘‘স্বামী হিসেবে যে ছবি দীপ্তেন তুলেছিলেন, তা ব্যক্তিগত ছবি। অনুমতি না নিয়ে সেগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া প্রতারণার শামিল।’’

এই প্রসঙ্গে দীপ্তেনের আইনজীবী রাজা সেনগুপ্তের পাল্টা অভিযোগ, ‘‘ওঁদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত মামলা চলছে। শুধু প্রতিহিংসার জন্য আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ আনা হয়েছে।’’

Crime Police Social Media
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy