গার্ডেনরিচের বৃদ্ধা খুনের রহস্যে নতুন মোড়।
ঘটনায় জখম বৃদ্ধার নাতনি ফারিয়ার সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জেনেছে, খুনের সময়ে সেখানে উপস্থিত ছিল এক মহিলা ও এক পুরুষ। তাদের মুখ কালো কাপড়ে ঢাকা ছিল। শুধু চোখ, নাক দেখা যাচ্ছিল। দু’জনের হাতেই ছিল ধারালো অস্ত্র।
২৫ ডিসেম্বর গার্ডেনরিচে একটি ফ্ল্যাট থেকে বৃদ্ধা জহুরা খাতুনের দেহ মেলে। পাশে জখম অবস্থায় পড়েছিল ফারিয়া। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে সে এখন বাড়িতে রয়েছে।
ফারিয়া পুলিশকে জানায়, ওই রাতে ঘুম ভেঙে সে যখন শৌচালয়ে যায়, তখন দরজা খোলার আওয়াজ শোনে। ঘরে এসে দেখে, মুখ ঢাকা দু’জন ঠাকুরমাকে মারধর করছে। তাদের এক জন মহিলা। ফারিয়ার দাবি, সে চিৎকার করলে ওই দু’জন তাকেও মারধর করে। তার কাছে পুলিশ জেনেছে, অভিযুক্তেরা বাংলায় কথা বলছিল। ফারিয়ার দাবির সমর্থনও মিলেছে পুলিশের কাছে। পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে মেলা ভাঙা চুড়ি দেখে মনে করা হয়েছিল হয়তো তা জহুরা বা ফারিয়ার। কিন্তু জানা যায়, তারা কেউ চুড়ি পরতেন না।
পুলিশ জানিয়েছিল, আততায়ী ছিল একাধিক ও সম্ভবত তারা বৃদ্ধার পরিচিত। সেই সূত্রে পুলিশ জেরা করে বৃদ্ধার তিন ছেলেকে। ফারিয়ার বক্তব্য পেয়ে ফের তাঁদের জেরা করা হয়। পুলিশের দাবি, বৃদ্ধার এক ছেলের কথায় এখনও অসঙ্গতি রয়েছে। গোয়েন্দাদের দাবি, বৃদ্ধার ছোট ছেলে জানিয়েছিলেন গাড়ি খারাপ হওয়ায় ঘটনার দিন ভোরে তিনি বাড়ি ফেরেন। তার পরে জেগেই ছিলেন। পর দিন মেলে বৃদ্ধার দেহ। পরে পুলিশ জানতে পারে, সে দিন তেমন কিছু ঘটেনি। এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, “মঙ্গলবার বৃদ্ধার ছোট ছেলেকে জেরা করলে তিনিও এ কথা স্বীকার করেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy