বিসর্জন। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাবুঘাটে। ছবি: প্রদীপ আদক
বারোয়ারি পুজোর মণ্ডপে নবমীর ঢাক বাজছে। কিন্তু সামনের রাস্তা দিয়ে গঙ্গার ঘাটের দিকে চলেছে প্রতিমা। বৃহস্পতিবার এমনই দৃশ্যের সাক্ষী থাকল কলকাতা।
এ বার দুর্গাপুজোর তিথি নিয়ে বিভ্রাট হয়েছে। কোনও কোনও পঞ্জিকা মতে, বৃহস্পতিবারই ছিল একসঙ্গে নবমী ও দশমী। মহরমের জন্য আজ, শুক্রবার ও কাল, শনিবার বিসর্জন বন্ধ রেখেছে প্রশাসন। তাই এ দিন দশমী তিথি পড়তেই বিভিন্ন বাড়িতে দশমী তিথি-প্রতিমা বরণ হয়েছে। তার পরেই সপরিবার কৈলাসের দিকে রওনা দিয়েছেন দেবী।
পুলিশ জানিয়েছে, রাত পর্যন্ত গঙ্গার ২৪টি ঘাটে কয়েকশো প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি বনেদি বাড়ির প্রতিমা যেমন আছে, তেমনই রয়েছে কয়েকটি আবাসন ও বারোয়ারি প্রতিমাও। এর পরে ফের রবিবার বিসর্জনের দিন ধার্য করেছে প্রশাসন। ওই দিনই শহরের বেশিরভাগ পুজোর বির্সজন হবে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
লালবাজার সূত্রের খবর, প্রতিটি ঘাটেই তৈরি করা হয়েছে নজরদার মিনার। সেগুলি থেকে পুলিশকর্মীরা অনবরত সতর্ক নজর রাখছেন বির্সজনের জন্য ঘাটে উপস্থিত হওয়া মানুষজনের দিকে। ১ হাজারের বেশি পুলিশকর্মী মোতায়ন করা হয়েছে ঘাটের নিরাপত্তার জন্য। সেই সঙ্গে রয়েছেন চার জন ডেপুটি কমিশনার এবং এক জন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার। পাশাপাশি, দুপুর থেকে গঙ্গায় টহল দিচ্ছে রিভার ট্রাফিক পুলিশের স্টিমার। তাতে পুলিশকর্মী ছাড়াও রয়েছেন বির্পযয় মোকাবিলা বাহিনীর জওয়ানেরা। এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘প্রতিমা বিসর্জনের সময়ে কাউকেই গঙ্গার ধারে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।’’
এ দিন দুপুরে বাজে কদমতলা ঘাটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে যান কলকাতার পুলিশ কমিশনার সুরজিৎ করপুরকায়স্থ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং মেয়র পারিষদ দেবাশিষ কুমার। বাজে কদমতলা ঘাট পরিদর্শনের পরে পুলিশ কমিশনার জানান, নির্বিঘ্নে যাতে বির্সজন হতে পারে, তার জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পুরসভা সূত্রের খবর, গঙ্গা ছাড়াও শহরের বিভিন্ন পুকুর ঘাটেও এ দিন প্রতিমা বির্সজন হয়েছে। বিসর্জনের পরে যাতে প্রতিমার কাঠামো তুলে নেওয়া হয়, সে জন্য পুরসভার পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। গঙ্গার ঘাটগুলিতে ক্রেনের সাহায্যে ওই কাঠামো তুলে নেওয়া হচ্ছে প্রতিমা বিসর্জনের পরেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy