রাস্তায় গাড়ি তল্লাশি চলছিল। হঠাৎই একটি গাড়ি থেকে এক মহিলার আর্তনাদ শুনে ছুটে গেলেন কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারেরা। পুলিশ দেখে মহিলাকে ঠেলে নামিয়ে গাড়ি নিয়ে চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করল দুই ব্যক্তি। গাড়ি আটকে মহিলা ও ওই দুই ব্যক্তিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করল পুলিশ। মহিলা জানালেন, গাড়ির ভিতরে তাঁকে জোর করে তুলে ধর্ষণের চেষ্টা করে দু’জন। পুলিশ জানায়, মহিলাকে অপহরণ ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে দুই ব্যক্তিকে।
রবিবার রাতে বড়তলা থানা এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। ধৃতদের নাম বাপি দাস ও উত্তম বাকুলি। তাদের বাড়ি কাঁকুড়গাছিতে। ওই গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মহিলাকে ডাক্তারি পরীক্ষার পর তাঁকে পরিজনেদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। মহিলাকে উদ্ধারের জন্য বড়তলা থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর রবীন্দ্রনাথ দত্ত এবং জীবনচন্দ্র সরকার, সুদীপলাল পোদ্দার ও সোমা দাস নামে তিন কনস্টেবলকে পুরস্কৃত করা হয়েছে বলে লালবাজার সূত্রের খবর। সোমবার ধৃতদের ব্যাঙ্কশাল আদালত তাদের ১৮ মে পর্যন্ত পুলিশ হেফাজত দেয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মহিলা মূক ও বধির। তিনি স্বামী-পরিত্যক্তা। কাঁকুড়গাছি এলাকায় বিভিন্ন বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন তিনি। কাঁকুড়গাছির একটি বস্তিতে নিজের বাচ্চা এবং ভাইকে নিয়ে থাকেন। ধৃত দুই অভিযুক্ত কাঁকুড়গাছিরই অন্য একটি বস্তিতে থাকে এবং গাড়ি চালায়। রবিবার সন্ধ্যায় কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন ওই মহিলা। মানিকতলা মেন রোড এবং বাগমারি রোডের মোড়ে মহিলার পথ আটকায় ওই দুই ব্যক্তি। তার পরে তাঁকে জোর করে একটি গাড়িতে তুলে নেয়। গাড়ির মালিক বাপি দাস। সে নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিল।
বিডন স্ট্রিট এবং যতীন্দ্রমোহন অ্যাভিনিউয়ের মোড় পেরনোর সময়ে মহিলা গাড়ির ভিতর থেকে চিৎকার করে ওঠেন। বড়তলা থানার টহলদারি পুলিশের দলটি ওই গাড়ি থামায়। সেই সময়ে ওই মহিলাকে ঠেলে নামিয়ে গাড়ি নিয়ে পালাতে যায় বাপি ও উত্তম। ধৃতেরা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে জানায়, গিরিশ পার্ক যেতে চেয়ে মহিলা নিজেই গাড়িতে উঠেছিলেন। কিন্তু মহিলার অবস্থা দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। তারা তিন জনকেই বড়তলা থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, মূক ও বধিরদের ভাষা বুঝতে পারেন এমন এক জনকে থানায় ডাকা হয়। তিনি ওই মহিলার সঙ্গে ইশারায় কথা বলে জানতে পারেন, তাঁকে অপহরণ করে গাড়ির ভিতরেই ধর্ষণের চেষ্টা করছিল বাপি ও উত্তম। ধৃতেরা নেশাগ্রস্ত ছিল বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy