নতুন বছর উদ্যাপনে বইপাড়া মাতবে বই উৎসবে। বইপাড়ায় নববর্ষ উপলক্ষে এ ধরনের ‘বই উৎসব’ এই প্রথম। অনেকটা কলকাতা বইমেলার মেজাজে এই উৎসব হবে কলেজ স্কোয়ারে।
এতদিন অনেক প্রকাশকই সাহিত্যিকদের বই বার করত নববর্ষে। কিন্তু নববর্ষের সময়ে বই প্রকাশকে কেন্দ্র করে পুরো বইপাড়া মেতে ওঠার মতো ঘটনা আগে কখনও হয়নি। এপ্রিল মাসের ১২ তারিখ থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এই উৎসব। আয়োজক ‘পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড’। গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই আমাদের এই অভিনব উৎসবের প্রস্তাব দেন। এই উৎসবটি মূলত তাঁরই মস্তিস্ক প্রসূত। পুরো পরিকল্পনাটি তিনিই করেছেন। সেইমতো আমরা এই উৎসবটি বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করছি।”
কী কী হতে চলেছে এই বই উৎসবে? ত্রিদিববাবু জানান, কলেজ স্কোয়ারের পুকুরের চারধারে থাকবে প্রকাশকদের স্টল। থাকবে একটি মঞ্চও। পুকুরের ধারে ওই মঞ্চে ৬ দিন ধরে চলবে আলোচনাসভা থেকে শুরু করে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সঙ্গে বসবে রকমারি খাবারের স্টলও। মূলত বাংলার শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরাই এই উৎসবের লক্ষ্য। কোনও এক জন সাহিত্যিক নন, বাংলার প্রবীণ ও যশস্বী বহু লেখক মিলে এই বই উৎসবের উদ্বোধন করবেন। ত্রিদিববাবু বলেন, “পয়লা বৈশাখের দিন বাংলাদেশ এ রকম উৎসবে মেতে ওঠে। আমাদের এখানে আগে এ রকম আয়োজন হয়নি। প্রথিতযশা সাহিত্যিক থেকে শুরু করে নবীন উদীয়মান লেখতেরা, এই উৎসবে আমন্ত্রিত থাকবেন সকলেই। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতোই এই উৎসব হবে প্রবীণ ও নবীন সাহিত্যিকদের প্ল্যাটফর্ম।”
গিল্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, নববর্ষ উপলক্ষে আগেও বইপ্রকাশ হতো। এ বারও হবে। কিন্তু এ বার সাহিত্যিকদের নতুন বই প্রকাশ হবে এই উৎসবেরই অংশ। কলকাতা বইমেলায় যে ভাবে বইপ্রকাশ হয়, অনেকটা সে ভাবেই পাঠকদের সামনে বইপ্রকাশ করা হবে। বিশেষ অনুষ্ঠান হবে নববর্ষের দিন। প্রভাতফেরির আয়োজনও করা হবে। তাতে অংশ নেবে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরাও।
বইমেলার মতোই এই বই উৎসবে কোনও প্রবেশমূল্য থাকবে না। তবে বইমেলায় যেখানে বই কিনলে ১০ শতাংশ ছাড় পাওয়া যায়, এই উৎসবে বই কিনলে ছাড় পাওয়া যাবে ২০ শতাংশ। ত্রিদিববাবু বলেন, “বইমেলার মতোই এই বই উৎসবের মূল উদ্দেশ্যই হল আরও বেশি করে পাঠকদের বাংলা বই পড়তে উৎসাহ দেওয়া।” ত্রিদিববাবু আরও জানান, বইমেলার মতো অত জায়গা নেই এই উৎসবে। মূলত বাংলার বড় প্রকাশনীগুলোর জন্যই আলাদা স্টল থাকবে। ছোট বা মাঝারি মাপের প্রকাশনীদের জন্য জায়গা করা হবে গিল্ডের প্যাভিলিয়নে। ত্রিদিববাবু বলেন, “এই উৎসবকে কী ভাবে আরও সমৃদ্ধ করা যায়, সে বিষয়ে পরামর্শ নিতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা ফের আলোচনায় বসব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy