Advertisement
E-Paper

ভোটের শহরে বনধের চেহারা

সপ্তাহের প্রথম দিনে চেনা ব্যস্ততাটা উধাও। রাস্তাঘাট সুনসান। যানবাহন নেই বললেই চলে। সোমবার, ভোটের সকালে উত্তর বা দক্ষিণ কলকাতার সর্বত্রই ছিল এক ছবি। বাসের সংখ্যা হাতে গোনা। আর অটো প্রায় উধাও। দক্ষিণ কলকাতার প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড বা দেশপ্রাণ শাসমল রোডে অন্যান্য দিন অটো আর গাড়ির দাপটে রাস্তায় চলাই দায়। কিন্তু সোমবার ছবিটা ছিল ঠিক উল্টো। অটো প্রায় ছিলই না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৪ ০০:৫১
সুনসান ধর্মতলা। সোমবার দুপুরে। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার

সুনসান ধর্মতলা। সোমবার দুপুরে। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার

সপ্তাহের প্রথম দিনে চেনা ব্যস্ততাটা উধাও। রাস্তাঘাট সুনসান। যানবাহন নেই বললেই চলে। সোমবার, ভোটের সকালে উত্তর বা দক্ষিণ কলকাতার সর্বত্রই ছিল এক ছবি। বাসের সংখ্যা হাতে গোনা। আর অটো প্রায় উধাও।

দক্ষিণ কলকাতার প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড বা দেশপ্রাণ শাসমল রোডে অন্যান্য দিন অটো আর গাড়ির দাপটে রাস্তায় চলাই দায়। কিন্তু সোমবার ছবিটা ছিল ঠিক উল্টো। অটো প্রায় ছিলই না। একই অবস্থা ছিল চারুচন্দ্র প্লেস (ইস্ট), সাদার্ন অ্যাভিনিউ, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোড, আশুতোষ মুখার্জি রোড, রাসবিহারী অ্যাভিনিউ, রাজা সুবোধ মল্লিক রোড থেকে শুরু করে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, কলেজ স্ট্রিট, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোডে। একান্ত জরুরি তাগিদ ছাড়া মানুষ রাস্তায় বেরোননি। যাঁরা বেরিয়েছেন, যানবাহন কম থাকায় তাঁদের হয়রানি কম হয়নি! কড়া রোদে বাস, অটোর অপেক্ষায় দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। বেলঘরিয়ার রামচন্দ্র পাল শ্যামবাজারে প্রায় ৪৫ মিনিট দাঁড়িয়ে থেকেও বাস পাননি। তাঁর কথায়, “দিঘা থেকে ফিরছি। হাওড়ায় আধ ঘণ্টা দাঁড়ানোর পরে বাস পেয়েছি। এখান থেকে বাস কখন পাব, জানি না।”

এ দিকে, রাস্তায় যাত্রী কম থাকায় সারি সারি ট্যাক্সি দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা গিয়েছে। মেডিক্যাল কলেজের সামনে যাত্রীর অপেক্ষায় দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে বেশ কিছু ট্যাক্সিকে। কানাই চৌধুরী নামে এক ট্যাক্সিচালক জানান, এর আগেও তিনি ভোটের দিন ট্যাক্সি বার করেছেন। তবে এ দিনের মতো অবস্থা আগে হয়নি। হাজরা থেকে টালিগঞ্জ রুটের অটোচালক পালন শান্তি জানান, প্রায় পনেরো মিনিট স্ট্যান্ডে অপেক্ষার পরে এক জন যাত্রী পেয়েছেন। বাকি তিন জন না পেলে যেতেও পারবেন না। অটো বার করে লোকসানই হয়েছে।

ভোটের হাওয়া ছিল পাতালেও। সকাল থেকে মেট্রো সময়ে চললেও, যাত্রী বিশেষ ছিল না। মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র জানান, সপ্তাহের অন্য দিনগুলোতে সন্ধ্যে পর্যন্ত যাত্রীসংখ্যা থাকে তিন লক্ষেরও উপরে। সেখানে এ দিন মেট্রোয় এক লক্ষ লোকও হয়নি।

ফুটপাথগুলোও ছিল হকারশূন্য। গড়িয়াহাটের মতো জায়গায় এক-দু’জন হকার থাকলেও খদ্দের ছিল না। বন্ধ রাস্তার চায়ের গুমটি, খাবারের স্টল। ট্রাফিক পুলিশও তুলনায় কম। তবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় টহলদারি ভ্যান, মোটরবাইকে সার্জেন্ট, গাড়িতে পুলিশকর্মীর সঙ্গে থানার অফিসারকে নজরদারি করতে দেখা গিয়েছে। ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারিও।

lok sabha election kolkata
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy