খুন হওয়ার আগে ঘণ্টা তিনেক মায়ের কাছেই ঘুমিয়েছিল দেবাঙ্গন। সার্ভে পার্কে মায়ের হাতে ছেলে খুনের তদন্তে নেমে এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা। রবিবার নিজের পাঁচ বছরের ছেলেকে খুন করেন দেবযানী চৌধুরী নামে এক মহিলা। তার পরে বঁটি দিয়ে নিজের গলার নলি ও হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি এখনও হাসপাতালে ভর্তি।
পুলিশ জানায়, সোমবার দেবাঙ্গনের ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে মেলে। তা থেকে পুলিশ জেনেছে, খুন করা হয় রবিবার ভোরের দিকে। পুলিশের অনুমান, সকাল ছ’টার কিছুক্ষণ পরে খুন করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছিল, ছেলের শ্বাসরোধ করে খুন করেন দেবযানী। ময়না তদন্তের রিপোর্টেও একই কথা বলা হয়েছে বলে পুলিশের দাবি।
পুলিশ জানায়, দেবযানীর স্বামী দেবাশিস চৌধুরী দেহরাদূনে কর্মরত। দুই ছেলেকে নিয়ে সেখানেই থাকতেন ওই মহিলা। গত ডিসেম্বরে তাঁর মানসিক অসুস্থতা ধরা পড়ে। এ বছর জানুয়ারিতে তিনি দুই ছেলেকে নিয়ে কলকাতায় আসেন। এ দিন দেবাশিসবাবু কলকাতায় পৌঁছলে তাঁর হাতে দেবাঙ্গনের দেহ তুলে দেওয়া হয়। মনস্তত্ত্ববিদেরা ঘটনাটিকে মানসিক অবসাদের একটা উদাহরণ বললেও পুলিশ জানতে চায়, কেন নিজের ছেলেকে খুন করলেন দেবযানী। কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁর সঙ্গে রাত পর্যন্ত কথা বলা যায়নি। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “দেবযানীদেবীর সঙ্গে কথা বলা জরুরি। কিন্তু তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল না হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাচ্ছে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy