দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে সার্ভে পার্ক থানা এলাকার সন্তোষপুর মেন রোডে। নিহতের নাম সুমিত্রা দেব (৭০)। পুলিশ জানায়, নরেশচন্দ্র দেব (৭৪) নামে অভিযুক্ত ওই বৃদ্ধকে এ দিন সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, স্ত্রী সুমিত্রার সঙ্গে নরেশ নিউ সন্তোষপুর রোডের একটি ঝুপড়িতে থাকত। বেশ কয়েক বছর ঘরছাড়া ছিল ওই বৃদ্ধ। বছরখানেক আগে সে বাড়ি ফিরে আসে। পড়শিরা পুলিশকে জানিয়েছেন, গত কয়েক দিন ধরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হচ্ছিল। বুধবার রাতেও ওই ঘর থেকে ঝগড়ার আওয়াজ শোনা যায় বলে জানান প্রতিবেশীরা।
পুলিশ জানায়, এ দিন বিকেলে সুমিত্রাদেবীর পুত্রবধূ সুজাতা দেখতে পান, ঘরের দরজায় বাইরে থেকে তালা দেওয়া। কিন্তু ভিতরে পাখা চলতে দেখে সন্দেহ হয় তাঁর। তিনি তখন পড়শিদের ডেকে আনেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানলা দিয়ে দেখতে পান, খাটের উপরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন সুমিত্রা। পরে পুলিশ এসে ঘরের তালা ভেঙে ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠায়। সেখানেই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুুলিশ জানায়, ওই ঘর থেকে কাঠের একটি বাটাম উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তকারী অফিসারদের সন্দেহ, ওই বাটাম দিয়েই খুন করা হয় সুমিত্রাদেবীকে।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, ওই বৃদ্ধার মাথায় গুরুতর আঘাত ছিল। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, এ দিন বিকেলে দু’জনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। কলহ চলাকালীন কাঠের একটি বাটাম দিয়ে সুমিত্রার মাথায় আঘাত করে সে। রক্তাক্ত অবস্থায় স্ত্রীকে লুটিয়ে পড়তে দেখে ঘর থেকে বেরিয়ে যায় নির্বিকার নরেশ।
কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ শহরতলি) সন্তোষ পাণ্ডে জানান, তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, বোড়ালে বড় মেয়ের বাড়িতে লুকিয়ে আছে নরেশ। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় তাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy