হাসিবুলকে দোষী সাব্যস্ত করে কৃষ্ণনগর আদালত। নিজস্ব চিত্র।
চার বছর আগে ঘটা ধর্ষণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্তকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনাল কৃষ্ণনগর আদালত। আদালতের নির্দেশে খুশি নির্যাতিতার পরিবার।
রোজগারের আশায় অন্যের বাড়িতে কাজ করতে যেতেন। সেটাই যে বিপদ ডেকে আনবে বুঝতে পারেননি কিশোরী। ওই বাড়ির এক যুবক তাকে ধর্ষণ করে। মুখ বন্ধ রাখতে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দেয়। কিন্তু, ধর্ষণের জেরে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিয়েতে অস্বীকার করে নাকাশিপাড়ার বাসিন্দা হাসিবুল মণ্ডল। শেষ পর্যন্ত ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার। ২০১৮ সালের ওই ঘটনায় বুধবার দোষী সাব্যস্ত যুবককে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিল কৃষ্ণনগর আদালত। যুবকের ১ লক্ষ টাকা জরিমানাও করেছেন বিচারক। অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড।
নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানা এলাকায় বাড়ি ওই কিশোরীর। এখন যদিও তিনি তরুণী। ২০১৮ সালে তখন তাঁর ১৬ বছর বয়স। হাসিবুলের বাড়িতে মাঝে মাঝে কাজ করতে যেত সে। কাজ করতে গিয়েই হাসিবুলের লালসার শিকার হয়। মুখ বন্ধ রাখতে তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয় হাসিবুল। এর মধ্যেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে কিশোরী। তা শুনে হাসিবুল তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। এর পর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে কিশোরীর পরিবার। গ্রেফতার করা হয় হাসিবুলকে। তিন বছরের বেশি মামলা চলার পর হাসিবুলকে দোষী সাব্যস্ত করে কৃষ্ণনগর আদালত। বুধবার সাজা ঘোষণা করেন বিচারক।
হাসিবুলের দশ বছরের কারাদণ্ড হওয়ায় খুশি নির্যাতিতার পরিবার। জানা গিয়েছে, ওই কিশোরী একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy