E-Paper

শুভাপ্রসন্নের ‘ভাষাতত্ত্ব’ নিয়ে খোঁচা কুণালের

মঙ্গলবার দেশপ্রিয় পার্কের অনুষ্ঠান মঞ্চে বাংলা ভাষার শুদ্ধতা নিয়ে শুভাপ্রসন্নের মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং খণ্ডন করেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:৪৫
picture of kunal ghosh.

তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। ফাইল চিত্র।

শুভাপ্রসন্ন কি কোনও বিশেষ অভিপ্রায়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর মতবিরোধের কথা চাউর করে যাচ্ছেন? কেউ কথা বলে নিলে কি বিষয়টা মিটে যাবে? অর্থাৎ রাজ্যে বিশিষ্টজনেরাও এমন কোনও ‘দরকার’ পড়লেই হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রী বা তাঁর দলের থেকে ভিন্ন সুর হন? একুশে ফেব্রুয়ারি উদ্‌যাপনের সরকারি মঞ্চে শুভাপ্রসন্নের মন্তব্যের পরিণামে এ বার শাসক দলের অন্দরেই এমন তত্ত্ব উঠে আসছে।

মঙ্গলবার দেশপ্রিয় পার্কের অনুষ্ঠান মঞ্চে বাংলা ভাষার শুদ্ধতা নিয়ে শুভাপ্রসন্নের মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং খণ্ডন করেন। এর পরেও নানা সংবাদমাধ্যমে চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্নের বক্তব্য উঠে আসে। যেখানে তিনি অবস্থানে অনড় থাকার কথা বলেছেন। শাসক দলের ঘনিষ্ঠ অনেককে মনে করিয়েছেন, তিনি কত দিন আগে থেকে মমতার পক্ষে রাজনৈতিক অবস্থান নিয়েছেন।

তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বৃহস্পতিবার বলেন, “একটা স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে শুভাপ্রসন্ন একটু বাড়াবাড়ি করছেন। ভাষা দিবসের ঘটনা নিয়ে নতুন করে মমতাদিকে ভুল প্রমাণ করতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। দলের কারও উচিত ওঁর সঙ্গে কথা বলা। জমি নাকি কমিটির পদ লাগবে এটা জেনে নিলেই ঝামেলা মিটে যাবে।” পরে তাঁর এই মন্তব্য একান্ত ভাবেই চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্নের উদ্দেশে বলে ব্যাখ্যাও দেন কুণাল। তিনি বলেন, “আমি অন্য কোনও বিশিষ্ট জনের জন্য মর্যাদাহানিকর কিছু বলছি না। শুভাদার মন্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন। আমার ব্যক্তিগত মত, উনি আসলে কাঁহি পে নিগাহেঁ, কাঁহি পে নিশানা করে চলেছেন! কেন উনিই জানেন!” শুভাপ্রসন্ন পরে বলেন, “যাঁদের নিজেদের নানা রকম চাহিদা বা অভাব, তাঁরাই এমন বলে বেড়ান।” তাঁর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার সম্পর্ক একই জায়গায় আছে। আমি ভাষা নিয়ে মন্তব্যে কোনও সম্প্রদায়কে ছোট করতে চাইনি। আমি মনে করি, বাংলা ভাষার নানা ক্ষেত্রে পরিবর্তনের দরকার। বাংলাদেশের অনেক গুনিজনও আমার সঙ্গে অতীতে এক মত হয়েছিলেন।” তবে শুভাপ্রসন্নের মত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষাতত্ত্বের প্রাক্তন অধ্যাপক মহীদাস ভট্টাচার্যের মতো অনেকেই উড়িয়ে দিয়েছেন। মহীদাস বলেন, “বাংলায় দেশি শব্দ হাতে গোনা। আর পানি তো সংস্কৃত পানীয় থেকে এসেছে। ওড়িয়ারাও পানি বলেন। দাওয়াত আরবি থেকে ফার্সির মধ্যে দিয়ে এলেও তা কোনও ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করে না। জোর করে এটা বাংলা বা এটা বাংলা নয় বলাটাও ঠিক নয়। বাংলা ভাষার নানা রূপ, এটাই বাস্তব।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kunal Ghosh Subhaprasanna

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy