Advertisement
E-Paper

হরিদেবপুরে সঙ্গিনীকে খুন করে ফেরার! দু’মাস পরে অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিলেন বধূ

হাওড়াগামী বাসে কার্তিককে দেখেই চিনতে পারেন। খবর দেন হরিদেবপুর থানায়। শেষ পর্যন্ত তাঁর সক্রিয়তায় ধরা পড়েছেন কার্তিক।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৫ ২২:৪৫
বধূর হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছে পুলিশ।

বধূর হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছে পুলিশ। — নিজস্ব চিত্র।

জানুয়ারি মাসে হরিদেবপুরের ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল ছায়া সর্দার নামে এক মহিলার দেহ। সেই থেকে ফেরার ছিলেন তাঁর সঙ্গী কার্তিক দাস। তাঁর বিষয়ে খোঁজ দেওয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা ঘোষণা করেছিল হরিদেবপুর থানার পুলিশ। সমাজমাধ্যমে কার্তিকের ছবিও প্রকাশ করেছিল তারা। সেই ছবি দেখে শনাক্ত করেই রবিবার খুনে অভিযুক্তকে ধরিয়ে দিলেন এক বধূ। হাওড়াগামী বাসে কার্তিককে দেখেই চিনতে পারেন তিনি। খবর দেন হরিদেবপুর থানায়। শেষ পর্যন্ত তাঁর সক্রিয়তায় ধরা পড়েছেন কার্তিক। মহিলার হাতে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারমূল্য এবং একটি শংসাপত্র তুলে দিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসে উঠে কার্তিককে দেখেই সন্দেহ হয়েছিল ওই মহিলার। সঙ্গে সঙ্গে হরিদেবপুর থানায় ফোন করেন তিনি। থানা থেকে ওই ব্যক্তির পিছু নিতে বলা হয় তাঁকে। সেই মতো তিনি কার্তিককে অনুসরণ করতে থাকেন। হাওড়া বাস স্ট্যান্ডে বাস থেকে নেমে পড়েন কার্তিক। তার পরে হাওড়া স্টেশনের দিকে এগোতে থাকেন। ওই মহিলাও তাঁকে অনুসরণ করে এগোতে থাকেন। সেই ফাঁকে অভিযুক্তের ভিডিয়ো তুলেও পুলিশকে পাঠিয়ে দেন তিনি। সেই তথ্যের ভিত্তিতে হাওড়া জিআরপির ইনস্পেক্টর তপোজ্যোতি দাস তৎপর হয়ে কার্তিককে ধরে ফেলেন। আদালত কার্তিকের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। ওই মহিলাকে পুরস্কৃত করেছে পুলিশ। মহিলার স্বামী পেশায় অটো চালক।

গত জানুয়ারি মাসে হরিদেবপুরের ভাড়া বাড়ি থেকে ছায়ার দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে কার্তিক ও তিনি স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ছিলেন। গলার নলি কেটে খুন করা হয়েছিল তাঁকে। তার পর থেকেই কার্তিকের খোঁজ চলছিল। কার্তিক ধরা পড়ার পরে জেরায় দাবি করেন, তিনি চোখে কম দেখছিলেন। সেই সুযোগে অন্য জনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ছায়া। সে কারণেই তাঁকে খুন করেছেন বলে দাবি কার্তিকের।

arrest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy