E-Paper

বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের হিসাব চাইল লালবাজার

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার থানাগুলির কাছে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার সম্পর্কে জানতে চায় লালবাজার। ওই নির্দেশে বলা হয়েছিল, শুক্রবারের মধ্যে থানাগুলিকে তা পাঠাতে হবে।

থানাগুলি নিয়মিত তল্লাশি চালিয়ে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার করে।

থানাগুলি নিয়মিত তল্লাশি চালিয়ে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার করে। —প্রতীকী চিত্র।

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২৫ ০৭:৫৬
Share
Save

গত তিন মাসে থানাগুলি কত বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার করেছে, তার হিসাব জানতে চাইল লালবাজার। একইসঙ্গে, বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের পরে দায়ের হওয়া মামলায় তদন্তেরঅগ্রগতি কী হয়েছে, তা-ও জানাতে বলা হয়েছে কলকাতা পুলিশের থানাগুলিকে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার থানাগুলির কাছে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার সম্পর্কে জানতে চায় লালবাজার। ওই নির্দেশে বলা হয়েছিল, শুক্রবারের মধ্যে থানাগুলিকে তা পাঠাতে হবে।

এক পুলিশকর্তা জানান, থানাগুলি নিয়মিত তল্লাশি চালিয়ে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার করে। অস্ত্র পাচারের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে। সেই মামলা কোন পর্যায়ে রয়েছে, চার্জশিট তৈরি হয়েছে কিনা, সে সব কিছুই জানাতে বলা হয়েছিল। ইতিমধ্যে থানাগুলি তা লালবাজারকে পাঠিয়ে দিয়েছে বলে তিনি জানান। বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। মনে করা হচ্ছে, তাই শহরকে শান্ত রাখতে আগে থেকেই বেআইনি অস্ত্রের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করতে চাইছেন পুলিশকর্তারা।

অবশ্য বেআইনি অস্ত্রের বিরুদ্ধে বরাবরই কঠোর অবস্থান নিয়েছে লালবাজার। থানাগুলিকে বেআইনি অস্ত্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য নির্দেশও নতুন কিছু নয়। তবে অভিযোগ, লালবাজারের ওই নির্দেশ সত্ত্বেও থানাগুলি সব সময়ে অস্ত্র উদ্ধারে জোর দেয় না। মূলত থানাগুলির তরফে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের গুন্ডা দমন শাখা এবং এসটিএফ বেআইনিঅস্ত্রের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করে। পুলিশকর্তাদের দাবি, ওই লাগাতার তল্লাশি অভিযানের ফলে শহরের উপকণ্ঠে অস্ত্র তৈরির কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে বিহারের অস্ত্র কারবারিরা। তার বদলে ঝাড়খণ্ড এবং বিহারে অস্ত্র কারখানা খুলে সেখান থেকে অস্ত্র পাচার করা হচ্ছে শহরে। যার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে এসটিএফ প্রচুর বেআইনি অস্ত্র এবং কার্তুজ বাজেয়াপ্ত করেছে। এমনকি, সেই সূত্র ধরে এসটিএফ গত তিন মাসে বিহার এবং ঝাড়খণ্ডে ১৬টিবেআইনি অস্ত্র কারখানায় তল্লাশিও চালিয়েছে। যা থেকে প্রচুর অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। লালবাজার সূত্রের দাবি, এর পরেই বিহার ও ঝাড়খণ্ড থেকে এ রাজ্যে বেআইনি অস্ত্র পাচার অনেকটা কমাতে বাধ্য হয়েছে অস্ত্র কারবারিরা।

এক পুলিশকর্তার কথায়, ‘‘বেআইনি অস্ত্রের বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযান চললেও ভিন্‌ রাজ্যের দুষ্কৃতীরা অস্ত্র নিয়ে এ রাজ্যে ঢুকে অপরাধ করছে। কসবায় এক পুরপ্রতিনিধির উপরে হামলার ঘটনাতেও ভিন্‌ রাজ্যের দুষ্কৃতীরা জড়িত। তবে তারা যাতে ভিন্‌ রাজ্য থেকে এসে অপরাধ করতে না পারে, তার জন্য বেআইনি অস্ত্রের সঙ্গেই ভাড়া বাড়ি, অতিথিশালা প্রভৃতি জায়গায় আরও বেশি করে নজরদারি চালানোর জন্য গোয়েন্দাদের সঙ্গে বলা হয়েছে থানাগুলিকেও।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Illegal Firearms Lalbazar

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে আপনার সাবস্ক্রিপশন আপনাআপনি রিনিউ হয়ে যাবে

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।