উত্তরপ্রদেশের ঘটনার প্রতিবাদে মধ্য কলকাতায় কংগ্রেসের বিক্ষোভ মিছিল। —নিজস্ব চিত্র।
এ বার গণ-সংগঠনগুলিকে সামনে রেখে কলকাতার পথে যৌথ প্রতিবাদে নামছে বাম ও কংগ্রেস। ‘অমানবিক বিজেপি সরকারের ফ্যাসিস্তসুলভ আচরণ’ এবং উত্তরপ্রদেশে একের পর এক নারী নির্যাতন ও জাত-পাতভিত্তিক বৈষম্যের প্রতিবাদে আজ, শনিবার বিকালে মৌলালি থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করবে বাম ও কংগ্রেসের ছাত্র, যুব ও মহিলা সংগঠন। উত্তরপ্রদেশের হাথরসের ঘটনার প্রতিবাদেই আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের মিছিল রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর মিছিল শেষ হলে বাম ও কংগ্রেসের কর্মসূচি শুরু হবে, সেই ভাবেই পুলিশি আয়োজনও হচ্ছে। যৌথ কর্মসূচির পাশাপাশি বাম ও কংগ্রেসের জোট সংক্রান্ত আলোচনা শুরু হওয়ার প্রস্তুতিও পাকা।
এআইসিসি-র নির্দেশে এ বার গাঁধী জয়ন্তীতে ‘শ্রমিক ও কৃষক দিবস’ পালনের কর্মসূচি নিয়েছিল কংগ্রেস। তার সঙ্গেই যোগ হয়েছিল হাথরসে গণধর্ষণের ঘটনা ও সেখানে যাওয়ার পথে রাহুল গাঁধী, প্রিয়ঙ্কা বঢরাদের পুলিশি হেনস্থার প্রতিবাদ। হাজি মহম্মদ মহসিন স্কোয়ারে শুক্রবার আইএনটিইউসি-র উদ্যোগে এই সংক্রান্ত কর্মসূচিতে ছিলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, কামারুজ্জামান কামার, প্রদেশ কংগ্রেস নেতা শুভঙ্কর সরকার, আব্দুস সাত্তার, কৃষ্ণা দেবনাথেরা। মান্নান বলেন, ‘‘দেশের বর্তমান শাসকেরা গাঁধী নয়, গডসের পূজারী। তারা কৃষক থেকে শ্রমিক, সকলের সর্বনাশ করছে। মহিলাদের সম্মান ও নিরাপত্তার হাল কী হয়েছে, উত্তরপ্রদেশ দেখলেই বোঝা যাচ্ছে। রাহুল গাঁধীরা অহিংস প্রতিবাদ করতে গেলে পুলিশ দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে।’’ মুক্ত ঘোষ, তরুণ রায়দের মতো জেলা সভাপতিদের নেতৃত্বে প্রতিবাদ হয়েছে নানা জেলাতেই।
শ্যামবাজারে বাম ছাত্রদের প্রতিবাদ। —নিজস্ব চিত্র।
বালিগঞ্জ ফাঁড়িতে মানব বন্ধনে শামিল হয়েছিলেন সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, তুলসী মুখোপাধ্যায়েরা। আবার ছাত্র পরিষদ ‘ধর্না-সত্যাগ্রহে’ বসেছিল বিধান ভবনে। মূলত বাম কৃষক সংগঠনগুলির মঞ্চ কিষাণ সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি এ দিন প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছিল গাঁধী মূর্তির নীচে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy