বাগুইআটি থানায় ধৃত সিপিএম নেতা-কর্মীরা। —নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কালো পতাকা দেখানোর পরিকল্পনা করেছিল বামেরা। কিন্তু শাহের যাত্রাপথের আশেপাশে জড়ো হতেই বিক্ষোভকারীদের ধরে থানায় নিয়ে গেল পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে আছেন সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক পলাশ দাসও। পুলিশের এই আচরণ মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বৈঠকের ফল কি না, সেই প্রশ্নই তুলেছেন বাম নেতারা।
এনআরসি চালুর পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বাংলায় সরব তৃণমূল, বাম এবং কংগ্রেস-সহ নানা দল ও সংগঠন। এনআরসি-র প্রশ্নেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি শাহকে কালো পতাকা দেখানোর লক্ষ্যে মঙ্গলবার এয়ারপোর্টের কাছে যশোর রোডে পেট্রোল পাম্পে জড়ো হয়েছিলেন বামপন্থী এক দল ছাত্র। শাহ আসার আগেই ওখান থেকে ৯ জনকে আটক করে দমদম থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। আটকদের ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে থানার বাইরে বিক্ষোভ শুরু হলে সেখান থেকেও কিছু ছাত্রকে আটক করা হয় বলে অভিযোগ ‘এনআরসি-বিরোধী যুক্ত মঞ্চে’র নেতা প্রসেনজিৎ বসুর। আবার ‘নো এনআরসি’, ‘উই ওয়ান্ট জব’ লেখা প্ল্যাকার্ড-সহ পলাশ এবং আরও ১৬ জন সিপিএম কর্মীকে গ্রেফতার করে বাগুইআটি থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। রাত পর্যন্ত তাঁরা মুক্তি পাননি।
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘এনআরসি-র বিরোধিতা করে আমাদের কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে গেলে তাঁদের মারধর করে গ্রেফতার করা হয়েছে। কলকাতা সফরে শাহের কোনও বিড়ম্বনা হোক, সেটা মুখ্যমন্ত্রী চাননি। এটা কি পারস্পরিক বোঝাপড়ার ফসল?’’ তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব অবশ্য বলেছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সুরক্ষার প্রয়োজনে পুলিশ যা উচিত মনে করেছে, তা-ই করেছে। পুলিশ সূত্রের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর যাওয়ার রাস্তায় অশান্তি এড়াতে কিছু ‘সতর্কতামূলক’ গ্রেফতার করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy