Advertisement
E-Paper

চতুর্থ পর্বে বাংলায় বাহিনী ৯৮% বুথে

২৯ এপ্রিল চতুর্থ দফায় বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল, বোলপুর এবং বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে ভোট আছে। সেখানে ভোট নেওয়া হবে ১৫,২৮৫টি বুথে। কমিশন কমিশন সূত্রের খবর, ওই দফায় ৫৫২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হতে পারে। প্রায় ৯৮ শতাংশ বুথ কেন্দ্রীয় বাহিনীর আওতায় থাকবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:২২

সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী ক্রমশই বাড়ছে। চতুর্থ দফার ভোটে ৯৮ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে বলে মঙ্গলবার জানান রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও) আরিজ আফতাব।

প্রথমে পশ্চিমবঙ্গের ভোটের জন্য বাহিনী নিয়ে এক ধরনের পরিকল্পনা করেছিল নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে তারা জানিয়েছিল, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে বাহিনী পাওয়ার ছাড়পত্র যেমন যেমন মিলবে, সে-ভাবেই বঙ্গে আধাসেনা মোতায়েন করা হবে। বঙ্গে ভোট হচ্ছে সাত দফায়। একটির পর একটি পর্ব গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এ রাজ্যে বাহিনী ক্রমে বেড়ে চলেছে। ফলে বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা নিয়মিতই বদলাচ্ছে কমিশন।

২৯ এপ্রিল চতুর্থ দফায় বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল, বোলপুর এবং বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে ভোট আছে। সেখানে ভোট নেওয়া হবে ১৫,২৮৫টি বুথে। কমিশন সূত্রের খবর, ওই দফায় ৫৫২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হতে পারে। প্রায় ৯৮ শতাংশ বুথ কেন্দ্রীয় বাহিনীর আওতায় থাকবে।

প্রথম দফার চেয়ে দ্বিতীয় দফার ভোটে বাহিনী বেশি থাকায় তুলনায় গোলমাল কম হয়েছে। এমনটাই পর্যবেক্ষণ পশ্চিমবঙ্গে নিযুক্ত বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় ভি নায়েকের। সে-কথা কমিশনকে জানান তিনি। সেই অনুযায়ী তৃতীয় দফায় প্রায় ৯২ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। মঙ্গলবার তৃতীয় দফার ভোট অনেকটাই শান্তিপূর্ণ বলে কমিশন থেকে রাজনৈতিক দল— সকলেরই অভিমত। তৃতীয় দফায় বাড়তি বাহিনী থাকাতেই কি গোলমাল কম হয়েছে? এই প্রশ্নের জবাবে সিইও এ দিন জানান, বাহিনীর পাশাপাশি অন্য সব পদক্ষেপই করা হয়েছিল। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, বাহিনী সক্রিয় থাকলে অনেকাংশেই যে অশান্তি এড়ানো যায়, এ দিনের নির্বাচনে তা অনেকটাই প্রমাণিত।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বৃদ্ধির মধ্যেই এ দিন বালুরঘাট এবং ইংরেজবাজারে ওই বাহিনী ভোটারদের প্রভাবিত করছে বলে কমিশনে অভিযোগ করেন তৃণমূল নেতারা। কমিশনের একটি সূত্রের দাবি, একটি ক্ষেত্রে বিএসএফ এবং অন্যটিতে সিআরপি-র বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। দু’টি ঘটনাতেই দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়। ভাষাগত সমস্যার জন্য একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। বাহিনীর জওয়ানদের বুথের মধ্যে ঢোকার কথা নয়। এই প্রসঙ্গে সিইও জানান, তদন্ত চলছে।

এ দিকে, হুগলির খানাকুলের সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে উস্কানি
দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। সেই ঘটনায় ই-মেল মারফত তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন বলে জানান রাজ্য বিজেপি নেতারা।

Lok Sabha Election 2019 Politics BJP TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy