—ফাইল চিত্র।
জেলা হিসেবে বীরভূম ছাড়াও কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট ছিল। পরে জুড়ে গিয়েছিল মুর্শিদাবাদ, নদিয়া। চতুর্থ দফায় বীরভূমে ভোট শেষ হতে যোগ হল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের নাম। এই কেন্দ্রের বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেলেন অনুব্রত মণ্ডল। মঙ্গলবার বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই দায়িত্ব পেয়েছি। শুক্রবার বিষ্ণুপুরে যাব। ওখানকার মানুষকে একটাই জিনিস বোঝাব, নরেন্দ্র মোদী নন, দিদিই শেষ কথা।’’
এ দিন দুপুরে তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, জেলায় ভোট শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিষ্ণুপুরের বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেয়ে খোশমেজাজে রয়েছেন অনুব্রত।
তাঁর সামনে রাখা একটি নিউজ ম্যাগাজিন। তাতে প্রকাশিত হয়েছে নকুলদানা ও জল হাতে ধরা অনুব্রতরই কার্টুন। সেখানে চোখ রেখে হাসতে হাসতেই বললেন, ‘‘বিষ্ণুপুরেও নকুলদানা তত্ত্ব চলবে।’’ জানালেন, শুক্র, শনি এবং রবিবার আপাতত তিন দিন থাকবেন বিষ্ণুপুরে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
নির্বাচনী প্রচারে বীরভূম ও বোলপুর কেন্দ্রে যেমন ভাবে সব কিছু সাজানো হয়েছিল, একই ভাবে বিষ্ণুপুরেও প্রচার, দলীয় বৈঠক, জনসভা, রোড-শো হবে। সোমবার বোলপুর ফিরে এসে আবার মঙ্গলবার চলে যাবেন বিষ্ণুপুরে। অনুব্রত আসছেন জেনে বিষ্ণুপুরের তৃণমূল প্রার্থী শ্যামল সাঁতরার হাসি চওড়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘কেষ্টদা আসছেন শুনে নিশ্চিন্ত হলাম। জয়ের ব্যবধান আরও বাড়ছে।’’
কোথায় বোলপুর, কোথায় বিষ্ণুপুর। এলাকা, রুচিগত পার্থক্য আছে। কী ভাবে সামলাবেন? অনুব্রতর জবাব, ‘‘বিষ্ণুপুর খুব ভাল জায়গা। দুটো জায়গার অনেক মিল। ওই জন্যই দিদির নির্দেশ পেয়েছি।’’ কী কী মিল আছে? অনুব্রত মনে করেন, দুটি জায়গাই ভ্রমণস্থান হিসেবে বিখ্যাত। দুটি এলাকায় রাঙামাটি রয়েছে। সঙ্গে টিপ্পনি, ‘‘তৃণমূল থেকে বিতাড়িত হয়ে বিজেপিতে যাওয়া সাংসদও রয়েছেন দুই জায়গাতেই।’’
ঘটনা হল, চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি, একই দিনে দুই সাংসদ বোলপুরের অনুপম হাজরা এবং বিষ্ণুপুরের সৌমিত্র খাঁকে বহিষ্কার করেছিল তৃণমূল। সৌমিত্র খাঁ দল থেকে বহিষ্কৃত হয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেন অনুপমও। এ বারের নির্বাচনে অনুপম বিজেপি থেকে যাদবপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হলেও সৌমিত্র বিষ্ণুপুর কেন্দ্রেরই প্রার্থী। লড়ছেন বিজেপির হয়ে।
বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব নিয়ে অনুব্রত আসছেন শুনে সৌমিত্রর কটাক্ষ, ‘‘উনি নকুলদানা নিয়ে আসছেন! আমরা বিষ্ণুপুরের মোতিচুর তৈরি করে রেখেছি। হজম হবে তো?’’
সহ প্রতিবেদন: রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy