Advertisement
E-Paper

আজ থেকে শুরু হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ

লোকসভা ভোটের বেশ কিছু আগেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় চলে এল কেন্দ্রীয় বাহিনী।  শুক্রবার বিকেলে দেগঙ্গাতে বাহিনী এসে পৌঁছয়। দেগঙ্গা কিসান মান্ডিতে তাঁদের রাখা হয়েছে।

  নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৯ ০৩:০৭
দেগঙ্গায় পৌঁছল কেন্দ্রীয় বাহিনী। ছবি: সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়

দেগঙ্গায় পৌঁছল কেন্দ্রীয় বাহিনী। ছবি: সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়

লোকসভা ভোটের বেশ কিছু আগেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় চলে এল কেন্দ্রীয় বাহিনী। শুক্রবার বিকেলে দেগঙ্গাতে বাহিনী এসে পৌঁছয়। দেগঙ্গা কিসান মান্ডিতে তাঁদের রাখা হয়েছে। এদিন গোলাপ ফুলের স্তবক দিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে স্বাগত জানায় দেগঙ্গা থানার পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। বাহিনীতে রয়েছেন ৮১ জন বিএসএফ জওয়ান।

পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, আজ শনিবার থেকে ওই বাহিনীর জওয়ানদের দিয়ে বারাসত পুলিশ জেলা, বসিরহাট পুলিশ জেলা, বিধানগর কমিশনারেট, ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকায় রুট মার্চ করানো হবে। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘শনিবার থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী এলাকায় রুট মার্চ করবে। ঠিক কোন কোন এলাকায় শনিবার রুট মার্চ করবে এখনই তা বলা যাবে না।’’

এদিকে ভোট উপলক্ষ্যে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে না রেখে এলাকায় রুট মার্চ করানো হোক, নির্বাচন কমিশনের কাছে এই দাবি তুলেছেন বিরোধীরা। জেলা সিপিএম এর বক্তব্য, গোটা জেলার প্রতিটি এলাকাই স্পর্শকাতর। ভোটের নামে এখানে প্রহসন হয়। ভোট লুট হয়। জেলা সিপিএম এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক পলাশ দাস বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন এলাকায় দেওয়াল দখলকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। আমরা চাই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে না রেখে এলাকায় এলাকায় রুট মার্চ করানো হোক। এই দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে। রাজ্য সরকারকে দিয়ে হবে না। বাহিনী এলাকায় ঘুরলে মানুষের ভয় অনেকটা কমবে। ’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

জেলা তৃণমূল কমিটির তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর আসা নিয়ে তারা বিচলিত নন। কারা এলো, কারা গেল, তা নিয়ে তারা ভাবতে রাজি নন। জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অভিযোগ, ‘‘শান্তিপ্রিয় উত্তর ২৪ পরগনায় কেন্দ্রীয় বাহিনী এনে অশান্ত করবার চেষ্টা করা হচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোটে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপির হাতে জেলাতে আমাদেরই পাঁচজন কর্মী মারা গিয়েছিলেন।’’

তৃণমূলের বক্তব্য, ২০১৫ সালে বনগাঁ লোকসভার উপনির্বাচনে তারাই ১ টি বুথে ১০ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি করেছিল।

বিজেপি অবশ্য তৃণমূল নেতাদের ওই সব মন্তব্যকে তাদের কর্মীদের ভোকাল টনিক দেওয়া হিসেবেই দেখছেন।

বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শাসক দল বুঝতে পারছে পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ওরা ভয় পাচ্ছে। এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী টহল দিক। একাকায় তাদের পরিচিতি বাড়ুক।’’

গত পঞ্চায়েত ভোটে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার আমডাঙা, বাগদা, হাবড়া, দেগঙ্গার মতো এলাকায় ব্যাপক সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছিল। গুলি, বোমা, গণপিটুনি, মৃত্যু কিছুই বাদ যায়নি। বিরোধীদের দাবি, মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া থেকে শুরু করে ভোট গণনা, সর্বত্র সন্ত্রাস চলেছিল। পুলিশ ছিল কার্যত দর্শকের ভূমিকায়।

TMC Politics Lok Sabha Election 2019 Central Armed Force
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy