ভোটের মুখে বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংহের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল নৈহাটিতে। তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয় এলাকা। মারধর, মোটরবাইক ভাঙচুরের অভিযোগ তুলেছে দু’পক্ষই। অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়।
অভিযোগ অস্বীকার করে অর্জুন বলেন, ‘‘আমি কেন অস্ত্র বের করব?’’ পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমাদের দলের কর্মীদের পেটানো হবে, আর আমি চুপ করে বসে থাকব! তাঁদের পাশে দাঁড়ানোই তো আমার কাজ।’’
ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (জোন ১) কে কান্নন বলেন, ‘‘দু’পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে প্রার্থী গুলি চালিয়েছেন, এমন প্রমাণ এখনও মেলেনি।’’
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার মাঝরাতে। তৃণমূলের অভিযোগ, মামুদপুরের কুলিয়াগড়ের বিজেপি নেতা পার্থসারথি পাত্রের (পানু) বাড়িতে বৈঠক করছিলেন অর্জুন। অভিযোগ, সাড়ে ১২টা নাগাদ বৈঠক শেষে ফেরার পথে একটি ক্লাবে দলবল নিয়ে ঢুকে পড়েন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সে সময়ে ক্লাবে কয়েকজন টিভি দেখছিলেন। ওই ক্লাবের সদস্যেরা তৃণমূল কর্মী-সমর্থক বলেই এলাকায় পরিচিত। অভিযোগ, বিজেপির লোকজন তাঁদের হুমকি দেন। নৈহাটির তৃণমূল নেতা সনৎ দে বলেন, ‘‘অর্জুন নিজেও হুমকি দেন। ক্লাবের ছেলেরা প্রতিবাদ করলে উনি রিভলভার বের করে শূন্যে গুলি চালিয়েছেন।’’ অর্জুনের লোকজন ক্লাবের বাইরে রাখা কয়েকটি মোটরবাইক ভাঙচুর করে বলেও অভিযোগ। পাঁচটি বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। চিৎকার চেঁচামেচিতে এলাকার বাসিন্দারা জড়ো হয়ে গেলে বিজেপির লোকজন এলাকা ছাড়ে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে অর্জুন জানান, পার্থর বাড়ি থেকে বৈঠক শেষ করে তিনি চলে গিয়েছিলেন। পরে খবর পান, পার্থ বাড়ি থেকে বেরোলে তাঁর উপরে হামলা চালায় তৃণমূলের লোকজন। একটি বাইক পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পার্থর সঙ্গে থাকা দলের এক নেতাকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। অর্জুন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। দু’পক্ষের মারপিট বেধে যায়। নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক এবং অন্যান্য নেতারাও এলাকায় যান। পার্থ বলেন, ‘‘কোনও প্ররোচনা ছাড়াই বিজেপি প্রার্থী আমাদের দলের কর্মীদের উপরে হামলা চালিয়েছেন। তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধা সেনারাও হামলায় জড়াচ্ছেন। আমরা বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানাচ্ছি। প্রয়োজনে আদালতে যাব।’’