Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Politics

রফাসূত্র অধরাই, তবে সিপিএম-কংগ্রেসে জারি আলোচনা

প্রথম দফার ভোটের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন এগিয়ে আসছে। কিন্তু, বাম এবং কংগ্রেসের আসন সমঝোতার ছবি এখনও পরিষ্কার হল না।

বাম এবং কংগ্রেসের আসন সমঝোতার ছবি এখনও পরিষ্কার হল না। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

বাম এবং কংগ্রেসের আসন সমঝোতার ছবি এখনও পরিষ্কার হল না। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৯ ১৭:৪৭
Share: Save:

প্রথম দফার ভোটের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন এগিয়ে আসছে। কিন্তু, বাম এবং কংগ্রেসের আসন সমঝোতার ছবি এখনও পরিষ্কার হল না। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে তিন চারটি আসনের জটে রফাসূত্র এখনও অধরা রয়েছে। সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব এবং প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত আলোচনা করে জট ছাড়ানোর চেষ্টা করেছেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র এবং সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের মধ্যে ফোনে দফায় দফায় কথা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আবার দু’দলের নেতাদের আলোচনায় বসার কথা।

দু’দলের জেতা ৬টি আসনে কেউ কারও বিরুদ্ধে প্রার্থী দেবে না, এই রফায় আগেই পৌঁছেছিল সিপিএম এবং কংগ্রেস। এর পরে শুরু হয় বাকি ৩৬টা আসন নিয়ে ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা। কংগ্রেস প্রথমে ১৭টি আসনের দাবি নিয়ে দর কষাকষি শুরু করলেও পরে তারা আরও নমনীয় হয়। কিন্তু, সিপিএম এখনও পর্যন্ত কংগ্রেসের জেতা চারটি ধরে মোট ১১ আসনের বেশি তাদের দিতে চাইছে না। এত কম আসনে রফায় রাজি নন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র এ দিন বলেন, ‘‘যে কোনও সংখ্যায় আসন দিলেই তো আমরা তাতে রাজি হয়ে যেতে পারি না। মানুষ চান, তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্ম নিরপেক্ষ শক্তির জোট হোক। আমরা শেষ পর্যন্ত আলোচনা চালাব। দেখা যাক কী হয়।’’ পাশাপাশি তাঁর হেঁয়ালিপূর্ণ মন্তব্য, ‘‘কোনও কোনও ক্রিকেটার নব্বইয়ের ঘরে আউট হয়ে যান। আমরা সেঞ্চুরির জন্য খেলতে চাই।’’

কংগ্রেস ও বাম সূত্রের খবর, দার্জিলিং আসনে দু’পক্ষের সমর্থনে পাহাড়ের কোনও মুখকে দাঁড় করানো হবে, এই মর্মে রফা হয়েছে। এর পরে জলপাইগুড়ি আসনটি দাবি করেছে কংগ্রেস। তাদের যুক্তি, রায়গঞ্জ আসন সিপিএমকে ছেড়ে দেওয়ার পরে অন্য কোনও আসন না পেলে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় ‘হাত’ প্রতীক দেখা যাবে না। আবার সিপিএমের পাল্টা যুক্তি, উত্তরের ওই এলাকায় শুধু জলপাইগুড়ি আসনটিই তারা লড়ে। বাকি সব আসন শরিকদের। তবু, কংগ্রেসের জন্য আলিপুরদুয়ার আসন ছেড়ে দিতে তারা আরএসপি-কে রাজি করানোর কথা বলেছিল। কিন্তু, কংগ্রেস আলিপুরদুয়ারে উৎসাহী নয়। দক্ষিণবঙ্গে হুগলি ও শ্রীরামপুরের মধ্যে একটি আসন দাবি করছে কংগ্রেস। কিন্তু, সিপিএম তাদের বলছে আরামবাগ নিতে। তাতে আবার কংগ্রেস আগ্রহী নয়। কংগ্রেসের নজর মেদিনীপুর আসনে। কিন্তু সিপিআইয়ের মেদিনীপুরের বদলে সিপিএম নিজের ভাগ থেকে ঝাড়গ্রাম ছেড়ে দিতে চায়। তাতে কংগ্রেস উৎসাহ দেখাচ্ছে না। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট আসন ঘিরেও জটিলতা আছে। এখন অর্জুন সিংহকে ঘিরে তৃণমূল এবং বিজেপি শিবিরে তৈরি হওয়া অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যারাকপুর আসনটি কংগ্রেসকে ছেড়ে দিতে চায় সিপিএম। এতে অবশ্য কংগ্রেসের বিশেষ আপত্তি নেই। তবে, তাদের ভাগের মোট আসন সংখ্যা ১৩-১৪য় না উঠলে, কংগ্রেসের পক্ষে রফাসূত্রে পৌঁছনো কঠিন।

আরও পড়ুন: সব বুথই স্পর্শকাতর, দাবি বিরোধীদের, মমতা বললেন, এটা রাজ্যের অপমান

সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর এক সদস্যের মন্তব্য, ‘‘জট আছে যথেষ্ট। আমরা চেষ্টা করছি, সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান বার করতে।’’

আরও পড়ুন: পুলওয়ামা নিয়ে মমতার মন্তব্যের পরই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত, বিজেপিতে যোগ দিয়ে বললেন অর্জুন

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Politics Congress CPI(M) Left Front
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE