চাকদহের বিধায়ক রত্না ঘোষ কর। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে এ বার রাজ্যের মন্ত্রী রত্না ঘোষ করকে শোকজ করল নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের তদারকিতে রাজ্যে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে সম্প্রতি বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তিনি। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নজরে আনেন বিজেপি নেতৃত্ব। তার পরই তাঁকে শোকজ করা হল।
সম্প্রতি নদিয়ার চাকদহে দলের কর্মিসভায় বক্তৃতা করছিলেন রত্না ঘোষ কর। সেখানে তিনি বলেন, যুদ্ধে ন্যায়-অন্যায় বলে কিছু নেই। গণতন্ত্রের কথা মাথায় রাখলে চলবে না। বরং যুদ্ধ জিততে যে পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয় করতে হবে।
দলের মহিলা কর্মীদের উদ্দেশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী রত্নাদেবী আরও বলেন, ‘‘২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় বাহিনীর তাড়ায় আমাদের অনেক কর্মী রক্তাক্ত হয়েছিলেন। এ বার ভোটের দিন বুথে বুথে ঘুরব আমি। তাই ভয়ের কিছু নেই। দলের মহিলা কর্মীদের বলব, যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী বেয়াদপি করবে, ঝাঁটা হাতে তাড়া করবেন। ’’
Ratna Ghosh Kar TMC CHAKDAH MLA & Minister in Mamata’s Cabinet is directing all the TMC workers to Kill the democracy & loot the vote in whatever way possible. She is asking Lady Workers to Beat the Central Police force with Broom and kick them out from the village @BJP4India pic.twitter.com/84GIQ6mYw3
— Sanjay Bahadur (BJP) (@svirtuoso2010) April 17, 2019
এই ভিডিয়োই ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আরও পড়ুন: দুই বরখাস্ত কর্মীর মদতে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র! শেষ দেখে ছাড়ব, বলল সুপ্রিম কোর্ট
আরও পড়ুন: দ্বিগ্বিজয় সিংহের সভার মঞ্চে মোদীর প্রশংসা, 'বীরত্ব'-এর জন্য যুবককে সংবর্ধনা বিজেপির
রত্নাদেবীর ওই বক্তৃতার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তে দেরি হয়নি, যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। অবিলম্বে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন বিজেপি নেতৃত্ব। যার পর নদিয়া জেলার নির্বাচন আধিকারিকের কাছে থেকে রিপোর্ট তলব করে কমিশন।
এই বিষয়টি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক এর দফতরের নজরে আনেন বিজেপি নেতৃত্ব। অভিযোগ পেয়ে কমিশন নদিয়া জেলার নির্বাচনী আধিকারিক এর কাছে রিপোর্ট তলব করে। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর রত্নাদেবীকে শোকজ করা হল।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে রত্না ঘোষ কর জানান, ‘‘কমিশনের চিঠি পেয়েছি। জবাবও দিয়েছি শোকজের। এর চেয়ে বেশি কিছু বলার নেই আমার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy